মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল থেকে স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে প্রকৌশলীদের।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৮টায় মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানটি যাত্রা শুরু করে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেনে।
পদ্মাসেতু প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর বাংলানিউজকে বলেন, মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে সকাল ৮টায় ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেনে রওয়ানা দেয় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ধূসর রঙের স্প্যান ‘৬-সি’। সকাল সোয়া ১০টায় নির্ধারিত পিলারের কাছে পৌঁছায় স্প্যান বহনকারী ক্রেনটি। আবহাওয়াসহ সবকিছু অনুকূলে থাকলে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল থেকে স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
জানা যায়, পদ্মাসেতুতে ৪২টি পিলারের মধ্যে ৪১টি স্প্যান বসবে। সেতুর ২৪৭টি পাইল বসানোর কাজ শেষ। সম্পন্ন হয়েছে ২৩টি পিলারের কাজ। পদ্মাসেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসবে। জাজিরা প্রান্তে স্প্যানগুলোতে রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ চলমান। প্রস্তুত করে রাখা আছে প্রায় ৩৫০ রোডওয়ে স্ল্যাব। এছাড়া ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসবে স্প্যানগুলোতে। সম্প্রতি জাজিরা প্রান্তে ভায়াডাক্টে রেলওয়ে গার্ডার বসানোর কাজও শুরু হয়েছে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে সে দেশেরই আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে সেতুর কাঠামো।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৯
এএ