ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ডিনামাইট ব্যবহার করে ভাঙা হবে বিজিএমইএ ভবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৯
ডিনামাইট ব্যবহার করে ভাঙা হবে বিজিএমইএ ভবন রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার

ঢাকা: ডিনামাইট বা নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ পদ্ধতি ব্যবহার করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে তৈরি পোশাক মালিক ও রফতানিকারক সমিতির প্রধান কার্যালয় বিজিএমইএ ভবন। রাজধানীর হাতিরঝিলে অবৈধভাবে নির্মিত এ ভবন ভাঙার সব প্রস্তুতি অনেক আগেই সম্পন্ন করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে বাংলানিউজের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার।

এটি সম্পন্ন হলে বাংলাদেশে প্রথমবারেট মতো ডিনামাইট ব্যবহার করে ভবন ভাঙার ঘটনা ঘটবে।

ডিনামাইট দিয়ে বিস্ফোরণের পর ভবনটি সম্পূর্ণ ধসে পড়বে এবং মুহূর্তেই ধুলা ছড়িয়ে পড়বে বিজিএমইএ’র আশপাশের এলাকায়।

দীর্ঘ আইনি জটিলতার অবসান শেষে উচ্চ আদালতের নতুন করে সময় বৃদ্ধির কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় বিজিএমইএ ভবনটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে ভবনটি থেকে সব মালামাল সরিয়ে নিতে দুই ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় রাজউক। এ সময় শেষ হয় দুপুর ১২টায়। নির্দিষ্ট সময়ে মালামাল সরাতে না পারায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় চায় বিজিএমইএ। যেহেতু ভবনটিতে ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাই সার্বিক বিষয় বিবেচনায় এনে রাজউক আরও এক ঘণ্টা সময় বাড়িয়ে দেয়।

রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার বলেন, ডিনামাইট দিয়ে বিজিএমইএ ভবন গুঁড়িয়ে দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। যদিও এখনো রাজউকের হাতে এ ভবন ভাঙতে তিন মাস সময় রয়েছে। তাছাড়া ভবনটি ভাঙতে হাতিরঝিল প্রকল্পসহ অন্যদের সহযোগিতা নেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, ভবনে থেকে যাওয়া বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ আরও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যাদের মালামাল সরিয়ে নিতে আমরা সময় দিয়েছি। বলেছি মালামাল সরিয়ে নিতে। তাদের মালামাল সরিয়ে নেওয়ার পর আজই ভবনটির ইউটিলিটি সেবা যেমন গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, টেলিফোনসহ সব সেবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। ভবন ভাঙতে যেহেতু সময় রয়েছে সেক্ষেত্রে আমাদের হয়তো এক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে।

রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ২০১০ সালের একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওইদিনই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ডি এইচ এম মনিরউদ্দিন প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের নজরে আনেন। পরদিন হাইকোর্ট বিজিএমইএ ভবন কেনো ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন।
 
একাধিকবার সময় নিয়েও আদালতের নির্দেশে বিজিএমইএ ব্যর্থ হলে ভবন করার ক্ষেত্রে জায়গা না পাওয়ার অজুহাত দেখায়। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ৫০ শতাংশ কমমূল্যে উত্তরার ১৭ নং সেক্টরে ১১০ কাঠা জমি দেওয়া হয়। সে জমির উপরই তৈরি হচ্ছে ১৩তলা বিজিএমইএ ভবন (পঞ্চম তলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে)। যা গত ৩ এপ্রিল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২০ সালের মধ্যে ওই ভবনের পুরো কাজ শেষ হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৯ 
ইএআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।