ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

মালামাল সরাতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় আবেদন, রাজউকের না

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৯
মালামাল সরাতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় আবেদন, রাজউকের না মালামাল সরাতে আরো এক ঘণ্টা সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে

ঢাকা: রাজধানীর হাতিরঝিলে অবৈধভাবে নির্মিত তৈরি পোশাক মালিক ও রফতানিকারক সমিতির প্রধান কার্যালয় বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল)। এ লক্ষ্যে ভবনটিতে থাকা বিভিন্ন অফিসের মালামাল সরাতে একদফা বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হওয়ার পরই আবারও রাজউকের কাছে সময় চায় বিজিএমইএ।

এ অবস্থায় তারা বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় চাইলেও রাজউক কর্তৃপক্ষ আগের সময়ের সঙ্গে আরও এক ঘণ্টা সময় বাড়িয়ে দেয় মালামাল সরাতে।

তবে প্রথম দফায় দেওয়া সময় থেকেই মালামাল সরাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ভবনটিতে থাকা অফিস কর্মচারীরা।

 

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দীর্ঘ আইনি জটিলতার অবসান শেষে উচ্চ আদালতের নতুন করে সময় বৃদ্ধির কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় বিজিএমইএ ভবনটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। ভবনটি ভাঙতে বিজিএমইএকে দেওয়া সময় পার হয়ে যাওয়ার পরই ভবনটি ভাঙার কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে ভবনটি থেকে সব মালামাল সরিয়ে নিতে দুই ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় রাজউক। এ সময় শেষ হয় দুপুর ১২টায়। নির্দিষ্ট সময়ে মালামাল সরাতে না পারায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় চায় বিজিএমইএ। যেহেতু এখানে ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে তা সার্বিক বিষয় বিবেচনায় এনে রাজউক আরও এক ঘণ্টা সময় দেয়।

এ বিষয়ে রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) খন্দকার ওলিউর রহমান বলেন, ভবনের অফিসগুলো অপসারণের কাজ চলছে। বারবার তাদের সময় দেওয়া সত্ত্বেও নানা অজুহাতে এখান থেকে অফিস সরানো হয়নি। আমরা দুই ঘণ্টা সময় দিয়েছিলাম মালামাল সরিয়ে নিতে, যা ১২টায় শেষ হয়। তারা অনেকটা কাজ সম্পন্ন করেছে। এখনও কাজ শেষ না হওয়ায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় চায়। আমরা সবকিছু বিবেচনা করে তাদের আরও এক ঘণ্টা সময় দিয়েছি।

ভবন থেকে সরানো হচ্ছে মালামালতিনি বলেন, মালামাল সরানোর পর আমরা ইউলিটি সেবা বন্ধ করে দেওয়ার মাধ্যমে ভবন ভাঙার কাজ শুরু করবো। এরপর আমরা ভবন ভাঙার কাজে হাত দেবো। তবে কি পক্রিয়ায় ভবন ভাঙা হবে তা স্পষ্ট করেননি এই কর্মকর্তা। একইসঙ্গে বিজিএমইএ কোথায় সময় বাড়ানোর আবেদন করেন সেটিও তিনি স্পষ্ট করেননি।

রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ২০১০ সালের একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওইদিনই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ডি এইচ এম মনিরউদ্দিন প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের নজরে আনেন। পরদিন হাইকোর্ট বিজিএমইএ ভবন কেনো ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন।
 
একাধিকবার সময় নিয়েও আদালতের নির্দেশে বিজিএমইএ ব্যর্থ হলে ভবন করার ক্ষেত্রে জায়গা না পাওয়ার অজুহাত দেখায়। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ৫০ শতাংশ কমমূল্যে উত্তরার ১৭ নং সেক্টরে ১১০ কাঠা জমি দেওয়া হয়। সে জমির উপরই তৈরি হচ্ছে ১৩তলা বিজিএমইএ ভবন (পঞ্চম তলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে)। যা গত ৩ এপ্রিল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২০ সালের মধ্যে ওই ভবনের পুরো কাজ শেষ হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৯ 
ইএআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।