ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কথাসাহিত্যিক শফিউদ্দীন সরদার আর নেই

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯
কথাসাহিত্যিক শফিউদ্দীন সরদার আর নেই শফিউদ্দীন সরদার

নাটোর: নাটোরের কৃতি সন্তান ও বরণ্যে কথাসাহিত্যিক শফিউদ্দীন সরদার আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। 

বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে শহরের শুকুলপট্টি এলাকায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। তিনি স্ত্রী, চার ছেলে, পাঁচ মেয়ে, নাতি-নাতনি আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমের জানাজার নামাজ বাদ মাগরিব শহরের গাড়িখানা কবরস্থান প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি ১৯৩৫ সালে নাটোর সদর উপজেলার হাটবিলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫০ সালে ম্যাট্রিকুলেশন (এসএসসি) পাস করার পর রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে আইএ, বিএ অনার্স এবং এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। পরে তিনি লন্ডন থেকে ডিপ্লোমা ইন অ্যাডুকেশন ডিগ্রি লাভ করার পর দেশে ফিরে নিজ গ্রামের স্কুলে শিক্ষকতা করা শুরু করেন।  

পেশাগত জীবনে তিনি রাজশাহী কলেজ, বানেশ্বর কলেজ ও নাটোর রানীভবানী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮২ থেকে ১৯৮৮ সাল পযন্ত প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।  

চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর কিছুদিন রাজনীতিও করেছেন। তার রচিত প্রথম সামাজিক উপন্যাস "চলনবিলের পদাবলী" দেশের কোনো প্রকাশক প্রকাশ করতে না চাওয়ায় তিনি ঐতিহাসিক উপন্যাস হিসাবে বের করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই থেকে তিনি একের পর এক রুপ নগরের বন্দী, বখতিয়ারের তলোয়াড়, গোড় থেকে সোনার গাঁ, যায় বেলা অবেলায়, বিদ্রোহী জাতক, বার পাইকার দুর্গ, রাজবিহুংগসহ ৪২ উপন্যাস রচনা করেন।  

ছড়া, কবিতা, গল্প, নাটক, প্রবন্ধসহ সাহিত্যে এমন কোনো শাখা নেই যে তিনি বিচরণ করেন নি। এই গুণি লেখকের প্রত্যেকটি বই পাঠকপ্রিয়। তিনি শওকত ওসমানের সমসাময়িক লেখক। সাহিত্য শাখায় বাংলাদেশে কাজ করেছেন, এমন উল্লেখ্যযোগ্য কয়েকজনের মধ্যে তিনি অন্যতম। বাংলার মুসলিম শাসনের হাজার বছরের গৌরব গাঁথাকে তিনি তার কলমে ফুটিয়ে তুলেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।