ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঘরে বসেই হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করা যাবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৮
ঘরে বসেই হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করা যাবে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ডিজিটাল বাংলাদেশের আরো একটি সোপানে পদার্পন করতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এতোদিন ই-টেন্ডারের মাধ্যমে ডিজিটাল সেবা চালু করে ডিএনসিসি। এবার গৃহকর (হোল্ডিং ট্যাক্স) ও ব্যবসায়িক চালান ফি (ট্রেড লাইসেন্স) অটোমেশনের মাধ্যমে পরিশোধ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ডিএনসিসি। এ লক্ষ্যে রাষ্ট্রায়ত্ব ও বেসরকারি ৫টি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।

বুধবার (০৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএনসিসির নগর ভবনে ব্যাংক ৫টির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। ডিএনসিসির পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ মিয়া।

এছাড়া প্রত্যেক ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে স্বাক্ষর করেন।  

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা, প্রধান নির্বাহী মেসবাহুল ইসলাম, সচিব রবিন্দ্র শ্রী বড়ুয়া, সোনালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক আব্দুল গফুরসহ প্রত্যেক ব্যাংকের প্রতিনিধি ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা।  
 
চুক্তি স্বাক্ষরের আগে প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সোপানে আরো একধাপ এগিয়ে গেল ডিএনসিসি। আগামীতে আমাদের সব সেবা ডিজিটাল মাধ্যমেই দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। নগরবাসীকে ঝামেলাহীন দ্রুততম সময়ে কাঙ্ক্ষিত সেবা পৌঁছে দিতে যা যা করার ডিএনসিসি তাই করবে।
 
প্রধান নির্বাহী মেসবাহুল ইসলাম বলেন, আমরা এরইমধ্যে জন্মসনদ অনলাইনে চালু করেছি। তবে সেটা পুরোপুরি অনলাইন বলা চলে না। আমরা চাই আজ যে সেবার জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো সেটা যেন পুরোপুরি অনলাইনেই সব কাজ শেষ করতে পারে। সেজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কর্মকর্তাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
 
সচিব রবিন্দ্র শ্রী বড়ুয়া বলেন, নগরবাসী ডিএনসিসির ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে নিজের নামে রেজিস্ট্রেশন করে একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সে তার টেক্সের যাবতীয় আপডেট পেয়ে যাবেন। এরপর সে ট্যাক্সের হার দেখে ব্যাংকের মাধ্যমে অথবা বিকাশের মাধ্যমেও টাকা দিতে পারবেন।
 
তিনি বলেন, এ সেবাকে আরো সহজ করতে আমরা প্রত্যেক গৃহকর্তার মোবাইল নম্বর ও ইমেইল আইডি নেওয়ার চেষ্টা করছি। এ প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ হলে আমরা প্রত্যেক গৃহকর্তার মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়ে দেব এবং ইমেইলেও পাঠিয়ে দেব তার কর’র হার। এতে কাজ আরো সহজ হয়ে যাবে।
 
প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ মিয়া বলেন, আমাদের চেস্টা থাকবে ২ লাখ ৩২ হাজার বা তার বেশি হাউজ হোল্ডেই ট্যাক্সের বার্তা পৌঁছে দেওয়া। আজ আমাদের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গেল দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্যান্য কাজ শেষ করে পুরোদমে অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স ফি জমা দিতে পারবে নগরবাসী। তবে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রাহকরা চাইলে সেবাটি গ্রহণ করতে পারবেন।
 
যে পাঁচটি ব্যাংকের মাধ্যমে অটোমেশন পদ্ধতিতে হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া যাবে সেগুলো হচ্ছে- সোনালী ব্যাংক লি., জনতা ব্যাংক লি., প্রাইম ব্যাংক লি., ডাচ বাংলা ব্যাংক লি. এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংক লি.।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৮
এসএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।