ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দাশেরকান্দি ট্রিটমেন্ট প্লান্ট হচ্ছে বসুন্ধরা সিমেন্টে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৮
দাশেরকান্দি ট্রিটমেন্ট প্লান্ট হচ্ছে বসুন্ধরা সিমেন্টে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা/ছবি- রাজিন চৌধুরী

ঢাকা: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় ‘দাশেরকান্দি সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট’ তৈরি হচ্ছে বসুন্ধরা সিমেন্টে। এ উপলক্ষে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ‘হাইড্রো-চায়না’র সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

প্রকল্পে ১৪ লাখ বস্তা (৭০ হাজার মেট্রিক টন) সিমেন্ট সরবরাহ করবে ‘বসুন্ধরা সিমেন্ট’।
 
মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) সকালে বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেড কোয়ার্টার-১ এ বসুন্ধরা সিমেন্ট ও হাইড্রো-চায়না’র মধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

এতে স্বাক্ষর করেন বসুন্ধরা গ্রুপের ডিএমডি প্রকৌশলী একেএম মাহবুব-উজ-জামান এবং হাইড্রো-চায়না’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক হি সেনফু।

অনুষ্ঠানে একেএম মাহবুব-উজ-জামান বলেন, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মেগা প্রকল্পেই দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবহৃত হচ্ছে দেশের সেরা ব্র্যান্ড ‘বসুন্ধরা সিমেন্ট’। তারই ধারাবাহিকতায় আজ এ চুক্তি হলো।

তিনি বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পানি ও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনের সবচেয়ে বড় প্রকল্প এটি। এই প্রকল্পের অংশ হতে পেরে বসুন্ধরা গ্রুপ গর্বিত। কারণ বসুন্ধরা গ্রুপ দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে। আশা করি আগামীতেও আমরা দেশের সব বড় বড় প্রকল্পের অংশীদার হয়ে দেশ সেবার সুযোগ পাবো।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বসুন্ধরা ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লি. অত্যাধুনিক ‘ভিআরএম’ প্রযুক্তির (ভার্টিক্যাল রোলার মিল) মাধ্যমে গুণগত মানসম্পন্ন বসুন্ধরা সিমেন্ট উৎপাদন করছে।

ঢাকা ওয়াসার দেওয়া তথ্য মতে, ঢাকার পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাকে একই পাইপলাইনে নিয়ে আসতে চীন সরকারের সহযোগিতায় ঢাকা ওয়াসার ২০২৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়নাধীন মহাপ্রকল্পের অংশ হিসেবে খিলগাঁও এলাকায় এই দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্প নির্মিত হচ্ছে। ৩ হাজার ৩৭৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প ২০২০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। ২৪ হেক্টর জমির ওপর বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পে দৈনিক ৫০ কোটি লিটার পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনের মাধ্যমে ৫০ লাখ নগরবাসীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।

এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বারিধারা, গুলশান, বনানী, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, সংসদ ভবন, ক্যান্টনমেন্ট এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা ও দূষণ বন্ধ হবে এবং এসব এলাকার পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা আরো সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হবে।  

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন হাইড্রো-চায়না প্রকিউরমেন্ট কর্মকর্তা বেই লিচিং এবং ডেপুটি প্রোডাকশন ব্যবস্থাপক ওয়াং ইউয়ানফিং। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের সিএফও মো. তোফায়েল হোসেন (সিমেন্ট), চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) খন্দকার কিংশুক হোসেন, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. মাহমুদুল হাসান, অ্যাসিসট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার আশিকুর রহমান আশিক, ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম রুবেল, কুদরত-ই-এলাহী, সফিকুল ইসলাম, মো. রোকনুজ্জামান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৮
আরএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।