ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পাই পাই পয়সা যেন জনগণের কাজে লাগে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৮
পাই পাই পয়সা যেন জনগণের কাজে লাগে বিসিসির নবনির্বাচিত মেয়র-কাউন্সিলরদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা: সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়নের কাজ চলছে। এই উন্নয়ন জনগণের এবং জনগণের অর্থে। আমরা ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হাতে নিয়েছে। উন্নয়নের যে অর্থ আমরা সরবরাহ করছি তার প্রতিটি পাই পাই পয়সা যেন জনগণের কাজে লাগে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

সোমবার (২২ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) নবনির্বাচিত মেয়র-কাউন্সিলরদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করি সব সময় চিন্তা করতে হবে নিজেদের ভাগ্য গড়া নয়, নিজেদের আর্থিক স্বচ্ছলতা নয়, নিজেরা অর্থ-সম্পদে শক্তিশালী হবো তা নয়।

বাংলাদেশের মানুষকে কতটুকু দিতে পারলাম, মানুষ কি পেলো, মানুষের ভাগ্য কি পরিবর্তন করতে পেরেছি সেটাই বড় কথা।

জনগণের জন্য কাজ করতে হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ ভোট দিয়েছে, যতদিন দায়িত্বে থাকবেন ভোটের বিনিময়ে তাদের কি দিতে পারলেন সেটাই বড় কথা। জনগণের জন্য কাজ করতে হবে। আমরা সরকারে আসার পর থেকে সেই চেষ্টাই করেছি। যার কারণে আজ মানুষের উন্নতি হয়েছে, দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়েছে। সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়নের কাজ চলছে। এই উন্নয়ন জনগণের এবং জনগণের অর্থে।

তিনি বলেন, আমরা ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হাতে নিয়েছে। উন্নয়নের যে অর্থ আমরা সরবরাহ করছি তার প্রতিটি পাই পাই পয়সা যেন জনগণের কাজে লাগে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের উন্নয়ন যখন হবে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ে তুলতে পারবো। জাতির পিতা যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন তা আমরা পূরণ করতে পারবো।

নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আপনাদের দায়িত্ব জনগণের সেবা করা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের দায়িত্ব জনগণের জন্য কাজ করা, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করা। বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করা এটাই আওয়ামী লীগের চিন্তা ভাবনা। এটা জাতির পিতা আমাদের শিখিয়ে গেছেন। সেই আদর্শ নিয়েই আমরা রাজনীতি করি। আজ ১০ বছর পরিশ্রম করছি। এই পরিশ্রম আমি আবার নিজের ভাগ্য করার জন্য করিনি। সন্তানদের বলেছি শিক্ষাটাই তোমাদের বড় সম্পদ। কোনো সম্পদ আমি তোমাদের জন্য রেখে যেতে পারবো না। বিদ্যা শিক্ষা দিয়ে নিজেদের ভাগ্য গড়বে। আমি দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে কাজ করবো। দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছি।

বিসিসি মেয়র ও কাউন্সিলরদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনার নির্বাচিত প্রতিনিধি, জনগণ আপনাদের ভোট দিয়েছে, প্রতিটি ভোটারকে মূল্যায়ন করতে হবে। আপনাদের সেভাবে কাজ করতে হবে যেন প্রতিটি মানুষ নাগরিক সুবিধা পায়। আপনারা যেহেতু আজ শপথ নিয়েছেন- আপনারা শপথবদ্ধ। আপনাদের জাতির সেবা করে যেতে হবে, সেটা দক্ষতার সঙ্গে করবেন।

আর্থ-সামাজিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল, ১০ বছর হয়ে গেল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। আজ বাংলাদেশের মানুষের জীবনে সত্যিই একটা পরিবর্তন এসেছে।

মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মাদকের হাত থেকে আমাদের পুরো সমাজকে মুক্ত করতে হবে। আমরা সন্ত্রাসমুক্ত, মাদকমুক্ত দেশ গড়তে চাই। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই।  

উন্নত বাংলাদেশের কামনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হবে, প্রতিটি মানুষ উন্নত জীবন পাবে, বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম শহরে উন্নীত হবে। গ্রামের মানুষ নাগরিক সুবিধা পাবে, শহরের সুবিধা পাবে। সবদিক থেকে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।

প্রধানমন্ত্রী আগামী নির্বাচনে দেশের জনগণকে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৮
এমইউএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।