ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

২২ দিন ইলিশ কিনবো না, খাবো না

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৮
২২ দিন ইলিশ কিনবো না, খাবো না সভায় বক্তব্যে রাখছেন নৌ পুলিশের ডিআইজি শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসান_ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের সবার উচিত ২২ দিন ইলিশ কিনবো না, খাবো না। তাহলে অসাধুরা যতোই মাছ ধরুক না কেন, বিক্রি করতে পারবে না। আর বিক্রি করতে না পারলে, গোপনে ইলিশ শিকারও করবে না।

সোমবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে বরিশাল পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে অনুষ্ঠিত মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০১৮ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে নৌ পুলিশের ডিআইজি শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মাছে ভাতে বাঙালি নামকরণের স্বার্থকতা ফিরিয়ে আনতে হলে প্রত্যেক নাগরিকের নিজ জায়গা থেকে সচেতন হওয়া উচিত।

মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের মধ্য দিয়ে এরই মধ্যে গোটা দেশ সুফল পেতে শুরু করেছে। সাগরসহ নদ-নদীতে বাড়ছে ইলিশসহ বিভিন্ন ধরনের মাছের পরিমাণ।

শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসান বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের নানান ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে সরকার। যে সুযোগ-সুবিধার পরিমাণ দিন দিন বাড়ানো হচ্ছে। তারপরও জেলেদের কিছু অভিযোগ রয়েছে যা সমাধানেও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে সরকারের পাশাপাশি সবাইকে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ এদেশ আমার, এদেশকেই ভালোবাসবো, সর্বোস্ব দিয়ে দেশকে উন্নত করার জন্য কাজ করবো।

অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে যারা সহায়তা করবে না, যারা ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে সহায়তা করবে না, বাধাগ্রস্ত করবে, তারা যতো ক্ষমতাবানই হোক না কেন হ্যান্ডকাপ পরাতে আমরা দ্বিধাবোধ করবো না। কিন্তু আমরা কাউকে জেলে পাঠাতে চাই না, জরিমান‍াও করতে চাই না। তাই সবাইকে সুন্দর মনোভাব নিয়ে মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রমকে বেগবান ও সফল করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোশারফ হোসেন, র‌্যাব-৮ এর বরিশালের অধিনায়ক আতিকা ইসলাম (অতিরিক্ত ডিআইজি), বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম, ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার মো. জোবায়েদুর রহমান, বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাজদার রহমান, মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস। বরিশাল মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন, ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি, আনোয়ার হোসেন সিকদার, বরগুনা জেলা মৎস্য ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী, বরগুনা জেলা ট্রলার ফিশিংবোট মালিক সমিতির সভাপতি আবু হেনা মো. ইমরুল কায়েস, বরিশাল জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু।

সভায় বক্তারা প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ না ধরার জন্য জেলেদের প্রতি আহবান জানান। এছাড়া প্রজনন মৌসুমে ইলিশ সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিপনন যাতে কেউ না করতে পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।  

ডিমওয়ালা মা ইলিশ রক্ষার এ অভিযান সফল হলে দেশে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং ইলিশ সহজলভ্য হবে বলে মনে করেন বক্তারা।

সভার আগে সকালে নৌ-পুলিশের উদ্যোগে জেলা পুলিশ লাইন্স থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় পুলিশ লাইন্সে গিয়ে শেষ হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৮
এমএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।