ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় তিতলি: বাগেরহাটে প্রস্তুত ২৩৪ আশ্রয় কেন্দ্র 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
ঘূর্ণিঝড় তিতলি: বাগেরহাটে প্রস্তুত ২৩৪ আশ্রয় কেন্দ্র  দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা

বাগেরহাট: বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ এখন আঘাত হানার অপেক্ষায়। তিতলির প্রভাবে সাগর উত্তাল। মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে সরকারি-বেসরকারি মোট ২৩৪টি ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।

বাগেরহাটের সব উপজেলায় মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) রাত থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সঙ্গে হালকা বাতাস বইছে। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা অবলম্বনে মোংলা বন্দরে বিদেশি জাহাজ আগমন ও নির্গমন বন্ধ রাখা হয়েছে।

তবে বন্দরে অবস্থানরত সব বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস কাজ স্বাভাবিক রয়েছে। মোংলা বন্দর থেকে নৌপথে পণ্য পরিবহণও চলছে বলে জানিয়েছেন হারবার মাস্টার দুরুল হুদা।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় তিতলি’র মোকাবেলা করতে জেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এ লক্ষে বুধবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকের কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ‘ঘূর্ণিঝড় তিতলি মোকাবেলায় করণীয়’ শীর্ষক এক প্রস্তুতি সভা করেছে।  

বাগেরহাট জেলা প্রশাসক (ডিসি) তপন কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জহিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শাহিন হোসেন, কৃষি অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আফতাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানসহ জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস বাংলানিউজেক বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় তিতলি উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের মংলায় আঘাত হানতে পারে। সেজন্য মংলা উপজেলাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ওই উপজেলার সব মানুষ যাতে নিরাপদে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারে সেজন্য তা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অন্য আটটি উপজেলাকেও দুর্যোগ মোকাবেলা করতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে সরকারি-বেসরকারি মিলে মোট ২৩৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।

এছাড়া দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এরই মধ্যে একটি জরুরি সভা করেছে। উপজেলাগুলোতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরি সভা করেছে। দুর্যোগকালীন এবং দুর্যোগ পরবর্তী করণীয় নানা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এজন্য স্বেচ্ছাসেবক, মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিসের একাধিক দল প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান ডিসি তপন কুমার।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।