বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান স্থগিত করেছেন তারা।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে নড়িয়া উপজেলার সাধুর বাজার লঞ্চঘাট এলাকায় হঠাৎ করে পদ্মার ভাঙনে প্রায় ৪০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে তলিয়ে যায়।
নিখোঁজরা হলেন- নড়িয়া উপজেলার চাকধ গ্রামের নাসির হাওলাদার (৪৫), পাচুখার কান্দি গ্রামের মোশারফ চোকদার (৪০), কেদারপুর গ্রামের নাসির উদ্দিন করাতী (৩৮), মোক্তারের চর গ্রামের আব্দুর রশিদ হাওলাদার (৪৫), দক্ষিণ কেদারপুর গ্রামের শাজাহান বেপারী (৫৮), মঞ্জু ছৈয়াল (৩৫), অন্তু মকদম (৩০), বিক্রয়কর্মী আল-আমিন (৩২) ও গোপিনাথ বাছার (৪১)।
শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক নিয়াজ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, পদ্মার ভাঙনে তলিয়ে যাওয়া ৯ জনের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। ফদিরপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি, শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল, নৌপুলিশ ও নড়িয়া থানা পুলিশ নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনে গৃহহারা হয়েছেন নড়িয়া উপজেলার কয়েক হাজার পরিবার। পদ্মার অব্যাহত ভাঙনে এখন হুমকির মুখে রয়েছে নড়িয়া উপজেলা শহর। ইতোমধ্যে নড়িয়া পৌরসভার কয়েকটি গ্রাম বিলিন হয়ে দ্রুত উপজেলা শহরের দিকে ধেয়ে আসছে পদ্মা। নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আর মাত্র ১০০ মিটার দূরত্বে রয়েছে পদ্মা। ভাঙনের মুখে রয়েছে নড়িয়া পৌরবাজার, পৌর ভবন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়, নড়িয়া সরকারি খাদ্য গুদাম, নড়িয়া সরকারি কলেজ, নড়িয়া বিএল উচ্চবিদ্যালয়, নড়িয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, মুলফৎগঞ্জ বাজারসহ অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও পুরনো ঐতিহ্যবাহী অনেক স্থাপনা।
** নড়িয়ায় পদ্মার ভাঙনে নিখোঁজ ১০
** নড়িয়ায় পদ্মার ভাঙনে নিখোঁজদের উদ্ধার অভিযান শুরু হয়নি
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৮
এসআরএস