শোকাহত বাবা গোলাম মাওলা এভাবেই বাংলানিউজের কাছে নিজের স্বপ্নভঙ্গের কথা বলেন। ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শুনে কাতার থেকে মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) তিনি দেশে ফেরেন।
তিনি আরো বলেন, এইচএসসি পাস করার পর পায়েলকে বাইরের দেশে পড়াশুনার জন্য পাঠিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু পায়েলের ইচ্ছে ছিল ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ব বিদ্যালয়ে বিবিএ পড়ার। ছেলের ইচ্ছানুযায়ী সেখানেই ভর্তি হয়। কিন্তু বিবিএ ভর্তি হওয়ার পর পায়েলের স্বপ্নই আমার স্বপ্ন হয়ে যায়। পায়েল বিসিএস পরীক্ষার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু, কি থেকে কি হয়ে গেল! ওর মা শোকে একেবারে ভেঙে পড়েছে।
আরও পড়ুন... ঢাকায় পৌঁছে মাকে ফোন দেওয়া হলো না!
শনিবার (২১ জুলাই) রাত সোয়া ১০টার দিকে হানিফ পরিবহনের বাসে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন পায়েল। ভোর ৪টার দিকে পথে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বাস যানজটে আটকা পড়ে। এসময় পায়েল বাস থেকে নেমে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যান। এরইমধ্যে বাস ছেড়ে দিলে পায়েল দৌড়ে বাসে উঠার চেষ্টা করলে ধাক্কা লেগে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারান। এসময় বাসের চালক, সুপারভাইজার ও চালকের সহকারী পায়েলকে মৃত ভেবে ব্রিজের উপর থেকে নদীতে ফেলে দেয়। ২৩ জুলাই সোমবার পায়েলের মরদেহ উদ্ধার করে গজারিয়া পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) পায়েলের মামা গোলাম সারোয়ারদী বিপ্লব বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় বাসচালক জামাল, সুপারভাইজার জনি ও হেলপার ফয়সালকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) বাসের সুপারভাইজার জনিকে (৩৮) গ্রেফতার করা হয়। বুধবার (২৫ জুলাই) তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এছাড়া বাসের চালক জামাল হোসেন (৩৫) ও বাসের হেলপার ফয়সাল হোসেনকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
**আহত পায়েলকে খালে ফেলে দেয় সুপারভাইজর-হেলপার!
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৮
এনটি