এ উপলক্ষে শনিবার (২৩ জুন) সকাল থেকে কয়েকটি জেলার হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ এই পুণ্যস্নানে অংশ নেয়। এছাড়াও নদী তীরে প্রার্থনা, গীতাপাঠ এবং কীর্ত্তনসহ ধর্মীয় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয়।
ঐতিহাসিকভাবে প্রতিবছর এখানে গঙ্গা দশহরা তিথী অনুযায়ী জ্যৈষ্ঠ বা আষাঢ় মাসে এ গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিতকায় শনিবার কানসাট পাগলা নদীর তীরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মিলন মেলায় পরিণত হয়। বিভিন্ন জেলা থেকে পুণ্যার্থীরা গঙ্গাআশ্রম ও গুজরঘাটে এসে একত্রিত হয়ে গঙ্গাদেবীর প্রার্থনা করেন।
এদিকে এ স্নান অনুষ্ঠানকে ঘিরে কানসাটের পাগলা নদীর তীরে আয়োজন করা হয়েছে গ্রামীণ মেলা। এ মেলায় বসেছে বিভিন্ন প্রসাধনী, কাঠের আসবাবপত্র, মাটির তৈরি জিনিসপত্র, হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন উপকরণ ও খাবার দোকান। বসেছে কীর্তনের জমজমাট আসরও।
স্নান কমিটির সভাপতি শ্রী সুবধ দত্ত বাংলানিউজেক বলেন, কানসাটের পাগলা নদীতে স্নান করে নিজের জীবনে জমে থাকা পাপকে বিসর্জন করছে পুণ্যার্থীরা। এছাড়া পূর্ব পুরুষদের সময় থেকে এখানে গঙ্গাস্নান ও মেলা হয়ে আসছে। তাদের স্মৃতি ধরে রেখে ভক্তি সহকারে এ গঙ্গাস্নান পালন করে আসছি।
তিনি বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শান্তিপূর্ণভাবে গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গঙ্গাস্নান ও উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তাও।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৮
জিপি