বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির নেতাকর্মীরা জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ঈদ উপলক্ষে গত ১৩ জুন বরিশাল থেকে ঝালকাঠি রুটে সরাসরি বাস চলাচল শুরু হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার (২১ জুন) সকালে ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতি বরিশালের বাস চলাচলে বাধা দেয় এবং ঝালকাঠির রায়াপুরে বাসগুলো আটকে দেয়।
পরে এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের বিচার দাবিতে বরিশালের রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস মালিক ও শ্রমিকরা ১৫ রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে করে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মালিক সমিতির নেতারা জানিয়েছেন, ঝালকাঠি থেকে বাস চলাচল করতে দিলেই তারা সব বাস চলাচল স্বাভাবিক করে দেবেন।
রুপাতলীস্থ বাস-মিনিবাস, কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম টিটু বাংলানিউজকে বলেন, বাস ভাঙচুর ও স্টাফদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সকালে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শ্রমিকরা মিছিল করেছেন। এছাড়া শুক্রবার (২২ জুন) বিকেলে বরিশাল মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের অফিসে একটি মিটিং ডাকা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে সমাধানে এ পর্যন্ত কোনো বৈঠক হয়নি।
রুটের ন্যায্য হিস্যা নিয়ে বরিশাল-পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির এবং ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির দ্বন্দ্বে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো বরিশাল নগরের রুপাতলী স্ট্যান্ড থেকে বাস চালানো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর বিভাগীয় প্রশাসনের আশ্বাসে বার বার বাস চালনা করা হলেও বরিশাল মালিক সমিতির কারণে তা বার বারই বন্ধ হয়ে যায়।
সর্বশেষ চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি বরিশাল থেকে ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও খুলনার বেশ কয়েকটি রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ ছিল। এরপর সমঝোতা বৈঠক শেষে গত ১৩ জুন সকাল থেকে বরিশাল নগরের রুপাতলীস্থ বাস টার্মিনাল থেকে সরাসরি ঝালকাঠি রুটে বাস চলাচল শুরু হয়। সে সময়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০ জুনের মধ্যে ন্যায্য হিস্যা নিয়ে সমাধান না হলে ২১ জুন থেকে আবারও সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার আল্টিমেটাম ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৮
এমএস/টিএ