ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিশ্বের সেরা ১০ পোশাক কারখানার ৭টি বাংলাদেশে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০১ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৮
বিশ্বের সেরা ১০ পোশাক কারখানার ৭টি বাংলাদেশে

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) কর্তৃক প্রত্যায়িত বিশ্বের সেরা ১০ পোশাক কারখানার মধ্যে ৭টি বাংলাদেশে অবস্থিত। এ পর্যন্ত ৬৭টি কারখানাকে ইউএসজিবিসি কর্তৃক সবুজ কারখানা হিসেবে প্রত্যয়ন করা হয়েছে। আরও প্রায় ৩০০টি সবুজ পোশাক কারখানা নির্মাণাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

সোমবার (১৮ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, শ্রম আইন ও শ্রম বিধিমালা অনুসারে গ্রিন ফ্যাক্টরি সম্পর্কিত প্রত্যক্ষ কোন বিধান নেই।

তবে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের জানুয়ারি, ২০১৭ থেকে ডিসেম্বর, ২০১৭ পর্যন্ত কমপ্লায়েন্স প্রতিবেদন অনুসারে ‘এ’ গ্রেডভুক্ত তৈরি পোশাক কারখানা ৪৩৬ এবং ‘বি’ গ্রেডভুক্ত তৈরি পোশাক কারখানার সংখ্যা ২২৮টি। তৈরি পোশাক কারখানাসমূহ পরিবেশবান্ধব ও পর্যায়ক্রমে গ্রিন ফ্যাক্টরির ধারণাভুক্ত করে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিশ্বের ২১টি মিশনে বাণিজ্যিক উইং রয়েছে। এর মধ্যে ৯টি মিশন চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম চার মাসের লক্ষ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো হতে উক্ত মিশনসমূহের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তথা কমার্শিয়াল কাউন্সিলর/প্রথম সচিব/ইকোনোমিক কাউন্সিলরদেরকে স্ব স্ব বাজার বিশ্লেষণ করে ব্যর্থতার কারণ জানানোর জন্য লেখা হয়েছে, যাতে আমরা পরবর্তীতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে করতে পারি। এর মধ্যে কিছু জবাব পাওয়া গেছে এবং সে অনুযায়ী সরকারের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন করতে সরকারের নানাবিধ পরিকল্পনা রয়েছে। ডব্লিউটিও সেল কর্তৃক প্রতি বছর ঝুঁকি মোকাবেলা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। চলতি অর্থবছরে ব্যবসায়ী, বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য ৬টি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং একাধিক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যাদি ভোক্তাসাধারণের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে পৌঁছে দেয়া বর্তমান সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার। বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যাদির সরবরাহ ও মূল্যের বিষয়টি দেশজ উৎপাদন এবং আমদানীর ওপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক বাজারে এই সকল পণ্যের দাম ওঠা-নামা করলে দেশীয় বাজারেও এর প্রভাব পড়ে থাকে। তাই স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণ প্রয়োজনীয় হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।