রোববার (১৭ জুন) সকাল থেকে পৌরসভাধীন বড়হাট এলাকায় মৌলভীবাজার-সিলেট রোডে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এর আগে, শনিবার (১৬ জুন) মৌলভীবাজার-রাজনগর-সিলেট রোডের রাজনগর উপজেলাধীন কদমহাটা এলাকায় বন্যার পানিতে রাস্তা তলিয়ে গেলে এই রোডে যান চলাচল বন্ধ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মনুর ভাঙন দিয়ে দ্রুত গতিতে পানি প্রবেশ করে মৌলভীবাজার-সিলেট রোডে কোমরজল দেখা দিয়েছে। প্রবল বেগে পানি প্রবাহ বাড়ছে শহরের দিকে। এর ফলে এই রোডে যান চলাচল বন্ধ করে উদ্ধার তৎপরতা চলছে। রাস্তার দুই পাশে ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন আটকে রাখা হয়েছে।
এদিকে, মনুর বাঁধ ভাঙায় মৌলভীবাজার শহরের একাংশ প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ড ও তিনটি ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্রমাগত পানি গড়াচ্ছে আশপাশের এলাকাগুলোতে। শহর ও শহরতলীর বাসাবাড়িতে পাঁচ থেকে ছয় ফুট পানিতে ডুবে আছে। এর ফলে বন্যা পরিস্থিতি মহামারি আকার ধারন করেছে। দুর্ভোগে পড়েছেন পানিবন্দিরা।
অন্যদিকে, জেলার কুলাউড়া, রাজনগর ও কমলগঞ্জ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ঘরবাড়ি, দোকানপাট, স্কুল কলেজ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় এখনও পানি রয়েছে। সেনাবাহিনী বন্যার্তদের সহযোগিতায় কাজ করছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. তোফায়েল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বন্যা মোকাবেলায় প্রশাসন তৎপর রয়েছে। শহরের বাইরে থেকে নৌকা এনে পানিবন্দিদের উদ্ধার কাজ চলছে। শহরে পাঁচটি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। সেখানে মানুষ আশ্রয় নিচ্ছেন। উপজেলাগুলোতে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।
**মনু’র বাঁধ ভেঙে মৌলভীবাজার শহরের একাংশ প্লাবিত
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৮
এনটি