শনিবার (১৬ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে শহরতলীর বারইকোনা এলাকায় এই বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। আর এরইমধ্যে দ্রুত গতিতে আশপাশে ছড়িয়ে পড়েছে পানি।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরতলীর বড়হাট এলাকা প্লাবিত হয়ে শহরের দিকে গড়াচ্ছে পানি। বাঁধ ভাঙার দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে পানি এসে ঠেকেছে শহরের কুসুমবাগ রহমান ফিলিং স্টেশন পর্যন্ত। যার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে শহর। প্লাবিত হচ্ছে পৌরসভার বরহাট ছাড়াও কুসুমবাগ, বড়কাপন ও যোগীডর এবং সদর উপজেলার হিলালপুর ও শেখেরগাওঁ।
এদিকে, ভাঙনকবলিত এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রশাসনের কর্মীরা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে তৎপর রয়েছেন। তবে এসবের মধ্যেও আতঙ্কে বাসিন্দারা এদিকওদিক ছুটোছুটি করছেন মালামাল নিয়ে। এলাকাজুড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এখন সম্ভাব্য আক্রান্ত এলাকা হচ্ছে - দূর্লভপুর, ঘরুয়া, বাহারমর্দন, সমপাশি, ভুজবল, খিদুর, দ্বারক, পাগুলিয়া, মোস্তফাপুর এলাকা ও তার আশপাশের এলাকা। এসব এলাকার সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
মৌলভীবাজার পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী রণেদ্র শংকর চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, তিনদিন ধরে বিপদসীমার ওপরে পানি থাকায় বাঁধ ফেটে বেশ বড় জায়গাজুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেনাবাহিনীসহ আমরা পানি আটকানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু বেগ বেশি হওয়ায় বস্তা ফেলেও তা ঠেকানো যায়নি। তবে যে পানি বেরিয়ে আসছে, তা মূল শহরকে প্লাবিত করতে পারবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৭ , ২০১৮
টিএ