শুক্রবার (১৫ জুন) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন ধারণার কথা জানান সিটিটিসির প্রধান মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর সিটিটিসির দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল।
ইতোপূর্বে আনসার আল ইসলামের গ্রেফতার সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
গুলি করে বাচ্চুকে হত্যা করা হয়েছে, এক্ষেত্রে আনসার আল ইসলাম হামলার ধরণ পাল্টেছে কি না জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, ২০১৩ সালে মোহাম্মদপুরে রাকিব মামুন নামে এক ব্লগারকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তাদের ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো সাধারণত মানসম্পন্ন অস্ত্র নয়, যে কারণে লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ডে চাপাতি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়।
রাজীবকে হত্যার পর আসিফ মহিউদ্দিনকে হত্যা চেষ্টা করা হয়। ওয়াশেকুর রহমান বাবুকে হত্যার সময় জনতার হাতে দুই হামলাকারী ধরা পড়ে।
পরবর্তীতে আনসার আল ইসলাম ভাবে হত্যাকাণ্ডের সময় তাদের কাছে অস্ত্র থাকলে তারা হয়তো গুলি করে পালিয়ে যেতে পারবে। লালমাটিয়ায় প্রকাশক টুটুল হত্যাচেষ্টার সময়ও তাদের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা গেছে। তারা আগ্নেয়াস্ত্র মূলত আত্মরক্ষার জন্য বা খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ব্যবহার করে না।
বাচ্চুকে হত্যার স্থানটি যেহেতু খুবই জনবহুল ছিল, তাই চাপাতি দিয়ে খুন করে পালানো সম্ভব নয় এমন ধারণা থেকেই তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে। পরে লোকজন এগিয়ে আসার চেষ্টা করলে তারা গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
২০১৩ সাল থেকে আনসার আল ইসলাম যে টার্গেট কিলিং চালিয়ে আসছে সেক্ষেত্রে বাচ্চুকে হত্যায় নতুন ট্রেন্ড মনে হয়নি। তাদের ম্যানুয়ালে যা ছিল তাই।
বাচ্চুর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পর্যালোচনা করে ইতোপূর্বে ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্ট হত্যার ধারাবাহিকতায়ই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মনে করছেন সিটিটিসি প্রধান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
পিএম/আরবি/