শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন নারী ও শিশু যাত্রীরা। ভ্যাপসা গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
শুক্রবার (জুন ১৫) কমলাপুর স্টেশনে দেখা যায়, প্রতিটি প্ল্যাটফর্মেই রয়েছে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। ট্রেন আসতে দেরি করায় অনেকেই ঘুমিয়ে সময় কাটাতে দেখা গেছে।
বাবুল মিয়া তার বৃদ্ধ মাকে নিয়ে সেহরি খেয়েই স্টেশনে এসেছেন। এরপর থেকেই ধূমকেতুর জন্য অপেক্ষা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার মা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাবুল বলেন, সকাল সকাল স্টেশনে এসেছি, কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করায় আমার মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সড়কপথে ভোগান্তির ভয়ে ট্রেনের টিকিট কেটেছি, কিন্তু এখানেও ভোগান্তি।
সাইদ রহমান নামে এক যাত্রী বলেন, ভোর সাড়ে ৫টায় স্টেশনে এসেছি। কিন্তু ৬টার ট্রেন ছাড়ছে পৌনে ১১টায়। পাঁচ ঘণ্টা ধরে স্টেশনে অপেক্ষা করছি। তবে ট্রেন আসায় ভালো লাগছে এজন্য যে, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারবো।
ধূমকেতু ট্রেনটি সকাল ৬টায় ছাড়ার কথা থাকলেও এটি কমলাপুরে এসে পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টায়। পৌনে ১১টার পর স্টেশন ছাড়ে ধূমকেতু। অন্যদিকে চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৮টায় কমলাপুর স্টেশন ছাড়ার কথা থাকলেও এখনও কমলাপুরে এসে পৌঁছায়নি।
এ বিষয়ে রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকেই যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ থাকায় ট্রেনে ধীরগতি ছিল। এসব ট্রেন স্টেশনে আসতে দেরি করায় একটু দেরি হচ্ছে, কমলাপুর থেকে আমাদের কোনো দেরি হচ্ছে না। এখন পযন্ত ১৫টি (বেলা ১১টা পর্যন্ত) ট্রেন স্টেশন ছেড়েছে।
বাংলাদপশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
ইএআর/এএ