বুধবার (২৫ এপ্রিল) ভোরে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের ব্র্যাক অফিসের কাছ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত খাদেমুল হোসেন শহরের শিশু বাগান পাড়ার রেজাউল হকের ছেলে।
পুলিশের ধারণা, দু’দল সন্ত্রাসীর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী খাদেমুল ইসলাম নিহত হয়েছে।
এদিকে নিহতের পরিবারের দাবি গত সোমবার রাতে পুলিশ পরিচয়ে কয়েকজন লোক তাকে তুলে নিয়ে গেছে।
তার বিরুদ্ধে মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর থানায় ডাকাতি, হত্যা, বিস্ফোরক, চুরি ছিনতাইসহ হাফ ডজন মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি রবিউল আলম।
ওসি রবিউল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ভোর ৪টার দিকে গুলির শব্দ শুনে শহরের ব্র্যাক অফিসের কাছে গিয়ে গুলিবিদ্ধ একজনকে পড়ে থাকতে দেখি। উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ থানায় নিয়ে আসার পর এলাকাবাসী শীর্ষ তাকে সন্ত্রাসী ও হত্যা মামলার আসামি খাদেমুলের মরদেহ বলে শনাক্ত করেন।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে ওয়ান শ্যুটারগান, তিনটি হাত বোমা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এদিকে নিহতের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন দাবি করে বলেন, গত সোমবার রাতে আমার স্বামীকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। আমরা অনেকবার থানায় গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও দেখা করতে দেয়নি পুলিশ। তবে তার স্বামীর নামে থানায় মামলার কথা স্বীকার করেন সুফিয়া।
নিহতের স্ত্রীর দাবি অস্বীকার করে মেহেরপুর সদর থানার ওসি বলেন, পুলিশ তাকে আটকই করেনি।
এদিকে এলাকাবাসী মনে করছেন, কয়েকদিন আগে ব্র্যাক অফিসের পাশে একটি ভূট্টা ক্রয় কেন্দ্রে ডাকাতি হয়েছে। এ ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে খাদেমুল ইসলামের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। এ কারণে তাকে হত্যা করা হতে পারে।
মেহেরপুর পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ডাকাত দু’দল সন্ত্রাসীর মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন খাদেমুল ইসলাম। তার নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ডাকাত।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৮/আপডেট:১৩৪৫ ঘণ্টা
আরএ