সোমবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে চাটমোহর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গণশুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) এএফএম আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এসময় উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী জনগণ। ৭৭টি অভিযোগের মধ্যে একই ধরনের অভিযোগ আসে ৩৩টি। ৪৪টি নির্দিষ্ট অভিযোগ নিয়ে দুপুর থেকে শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে চাটমোহর ডিগ্রি (অনার্স) কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত বিভিন্ন অনিয়ম আর দুর্নীতির তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জমির খাজনা খারিজ করে দেয়ার নাম করে ঘুষ নেয়ার দায়ে ফৈলজানা ইউনিয়ন উপ-সহকারী কর্মকর্তা (ভূমি) শরিফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত আর টিকিট কালোবাজারীর অভিযোগে চাটমোহর রেলস্টেশন মাস্টার মাসুম আলী খানকে শোকজ করার নির্দেশ দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরকার অসীম কুমার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস, দুদক প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (প্রতিরোধ ও গণসচেতনতা) মনিরুজ্জামান, দুদক রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক আব্দুল আজিজ ভূঁইয়া, দুদক পাবনা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক, চাটমোহর উপজেলা চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম হীরা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৮
এনটি