ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মালিবাগ হত্যাকাণ্ড মামলায় ইকবালসহ ১৪ আসামি খালাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১০
মালিবাগ হত্যাকাণ্ড মামলায় ইকবালসহ ১৪ আসামি খালাস

ঢাকা: মালিবাগ মোড়ে চার জনকে হত্যার মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা ডা. এইচবিএম ইকবাল, ভোলা ৩ আসনের সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, লণ্ড্রি দুলালহর ১৪ আসামি খালাস পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামসুন্নাহার বেগম এ রায় দেন।


 
রাজনৈতিক মামলা বিবেচনায় এ সংক্রান্ত কমিটি মামলাটি প্রত্যাহারের সুপারিশ করার পর এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্র্ইাব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌসুলি আবু আব্দুল্লাহ ভুঁইয়া আসামিদের অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন।

গত মঙ্গলবার এ আবেদনের পরপরই এর ওপর শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার আদেশের জন্য দিন ধার্য্য করে।

আদেশ দেওয়ার সময় ডা. এইচবিএম ইকবাল ছাড়া খালাসপ্রাপ্ত ১৩ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
 
মামলার অপর আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী আরমানকে জেল হাজত থেকে আনা হলেও তার নাম প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়নি।

খালাসপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন, ইমদাদুল হক, মনিরুজ্জামান লিটন, আব্দুল হালিম, আব্দুস সালাম, তারেক সামসুল খান, শওকত হোসেন নান্নূ, কবিরউদ্দিন আহমেদ, কামরুল মোর্শেদ, জসিমউদ্দিন, আবুল বাশার ও মুন্সী কামরুজ্জামান কাজল।

পিচ্চি হান্নান ও লিয়াকত হোসেন মারা গেলেও আদালতের নথিতে তাদের মৃত্যু সংক্রান্ত কোনও প্রতিবেদন না থাকায় তাদের নামও প্রত্যাহার করার আবেদন করা হয়েছে বলে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান ট্রাইবুনালের বিশেষ সরকারী কৌসুলি আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া।

আদালত সূত্র জানায়, মোট ২৪ আসামির মধ্যে ১৪ জন খালাস পাওয়ার পর বাকি ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম যথারীতি চলবে।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি হরতালের বিপে ডা. ইকবালের নেতৃত্বে একটি মিছিল এবং হরতালের পে বিএনপির একটি মিছিল মালিবাগ মোড়ে মুখোমুখি হয়। এ সময় মিছিলের ভেতর থেকে গুলি হলে বিএনপির চার কর্মী নিহত হন। এরা হলেন, জসিমউদ্দিন, খোকন, আব্দুর রশিদ মোল্লা ও নাজমা আক্তার। ঘটনার পরদিন প্রায় প্রতিটি দৈনিকে সন্ত্রাসী দুলাল ও খোরশেদ আলম মিছিলের ভেতর থেকে পিস্তল দিয়ে সিনেমা স্টাইলে গুলি করছে এমন ছবি ছাপা হয়। ২০০২ সালের ২৯ ডিসেম্বর ডা. এইচবিএম ইকবালসহ ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে মামলাটিতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

২০০৯ সালের ১৭ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারি সচিব আবু সাঈদ মোল্লা মামলাটি প্রত্যাহারের সুপারিশ করেন।

বাংলাদেশ সময় ১২২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।