মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঞ্জুরুল ইসলামের আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনপ্রাপ্ত সহযোগীরা হলেন- গোলাপজল হুজুরের প্রধান খাদেম আ. মান্নান খান, ইউনুছ খান, আলামিন ওরফে সবুজ ও মনজু মোল্লা।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের কালীবাড়ি গ্রাম থেকে ওই ৫ জনকে আটক করে পাথরঘাটা থানা পুলিশ।
গত কয়েক মাস ধরে আ. করিম এলাকায় গোলাপজল, আপেল ও কর্পূর দিয়ে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মানুষকে অপচিকিৎসা করছেন- এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বাড়িতে গিয়ে ৪ সহযোগীসহ তাকে আটক করে নিয়ে আসা হয়।
পরে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে প্রতারণা মামলা দিয়ে হাজির করলে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।
পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আদালত মামলাটি পর্যালোচনা শেষে গোলাপজল হুজুর আ. করিমসহ ৫ জনের জামিন মঞ্জুর করেন।
কালীবাড়ি গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী করিম খান স্বপ্নে পাওয়া কেরামতি দাবি করে অসুস্থ লোকদের চিকিৎসা দিতে শুরু করেন। গত কয়েক মাস ধরে ক্যান্সার, গ্যাস্ট্রিক ও বিভিন্ন ধরনের ব্যথাসহ বিভিন্ন রোগমুক্তিতে রোগীদের ১০ থেকে ১৫ বোতল গোলাপজল, আপেল ও কর্পূর খেতে বলেন।
‘গোলাপজল হুজুর’ আ. করিম খানের দাবি, ‘স্বপ্নে আমি চিকিৎসার জন্য মানুষকে গোলাপজলের পানি, আপেল ও কর্পূর দেওয়ার নির্দেশনা পেয়েছি। সে কারণেই আমার কাছে কেউ এলে ওগুলো খেতে বলি। আমি কোনো টাকা পয়সা নেই না’।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭
এএসআর