বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে জাতীয় সংসদে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ (১) বিধিতে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সাধারণের নোটিশ উত্থাপন করেন জাসদ (একাংশ) দলীয় সংসদ সদস্য মঈনউদ্দিন খান বাদল।
নোটিশের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাত থেকে সংসদের হাতে দেওয়ার অধিক গ্রহণযোগ্য আধুনিক ও বিশ্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তোফায়েল আহমেদ প্রধান বিচারপতির উদ্দেশ্যে বলেন, আমি তাকে সম্মান করি। বিনয়ের সঙ্গে বলছি, কথা কম বলা ভালো। এর আগে যত প্রধান বিচারপতি ছিলেন তাদের নিয়ে কখনও এতো সমালোচনা হয়নি। আপনাকে নিয়ে হয় কেন? কথা কম বলেন। ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে যে রায় দিয়েছেন তা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাচ্ছি। আইনমন্ত্রী এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
আলোচনায় তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, আমি বিনয়ের সঙ্গে বলি, বেশি কথা বলা ভালো না, তিনি (প্রধান বিচারপতি) বলেছেন, তাকে মিস কোড করা হয়েছে। মিস কোড কাদের করা হয় যারা বেশি কথা বলে। সংসদকে অপরিপক্ক বলা হয়েছে। তিনি বলেছেন, একাত্তুর ছাড়া জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়নি। তিনি কি ভুলে গেছেন ’৬৯-এ বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। স্বাধীনতার পর আমরা যখন এই সংবিধান প্রণয়ন করি তখন অনেক বিচারপতিই স্কুলের ছাত্র। তারা বলেন, বিচারপতিরা পরিপক্ক, আর আমরা অপরিপক্ক। দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে এসব কথা বললাম।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, একজন বিচারপতির দুর্নীতির তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যদি তার দুর্নীতি প্রমাণিত হয় তাহলে তিনি যে রায় দিয়েছেন তাহলে সেটা বির্তকিত হয়ে গেল। আমি সংসদ সদস্য আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে। রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে পারবে। অথচ একজন বিচারপতি দুর্নীতির তদন্ত হবে না, এটা বিস্ময়কর।
তিনি আরও বলেন, রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে- দেশের সব কিছুই অকার্যকর। তার মানে কি বাংলাদেশ অকার্যকর? না, বাংলাদেশ অকার্যকর না। কখন বলেছেন? যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তার সঙ্গে আমরা অনেক পোড় খাওয়া মানুষ আছি। বিশ্বে বাংলাদেশ প্রসংশিত হচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের পর নোটিশের ওপর আলোচনা করেন, আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৭
এসএম/এসকে/এমজেএফ