এলাকাবাসী বলছেন গ্রামের শেষ মাথা থেকে খালের পাড় ধরে মিয়ানমারের দিকে ১০/১২ কিলোমিটার হেঁটে গেলে নদীর পাড় ঘেষা ম্যানগ্রোভ বন। তারপর নাফ নদী।
আঞ্জুমান পাড়ায় গিয়ে দেখা গেলো, রোহিঙ্গাদের এই অস্থায়ী কেন্দ্রের গেটে বিজিবি চৌকি বসিয়ে রোহিঙ্গাদের আটকিয়ে রেখেছে। বালুখালির নতুন ক্যাম্পের জমি ঠিক হলেই তাদের এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। এই ক্যাম্পে যাতে কোন অঘটন না ঘটে সে জন্য আছে বিজিবির সার্বক্ষণিক টহল।
বড় রাস্তায় দাঁড়ালে দেখা যায় পিঁপড়ার সারির মতো সারিবদ্ধ ভাবে আসছে মানুষের কাফেলা। এরা সবাই তাঁবু খাটিয়ে ঝুপড়ি তুলেছেন। যারা নতুন আসছেন তারাও সরু ঘেরের পাড়ে তাঁবু খাটিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে গুটিসুটি মেরে বসে আছেন।
খোলা আকাশের নিচে দিন যাচ্ছে এই রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিবারের। খুঁটি গাড়া হয়েছে কিন্তু ত্রিপল পায়নি এখনও..!
শরণার্থী শিশুদের কান্নায় ভারী টেকনাফের চারপাশ।
পরিবারের সাথে দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে শিশুরাও সাহায্য করছে বোঝা বহন করে। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে এই শিশুটি পেয়েছে একটি বিস্কুটের প্যাকেট স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে।
বালুখালিতে তৈরী হচ্ছে সর্ববৃহৎ শরণার্থী ক্যাম্প। তাই আঞ্জুমান পাড়ার সীমান্ত পেরিয়ে আসা শরণার্থীদের সাময়িক ঠাঁই হয়েছে এখানেই। চারপাশেই পানি। মাঝখানের আইলে এক টুকরা ত্রিপল খুঁটিতে বেধে গাদাগাদি করে দিন পার করছে তারা।
এক রোহিঙ্গা মুসলিম আইলের টং-এ আসরের নামাজ আদায় করছেন।
বাবার পিঠে চড়ে আসা এক শিশুর অবাক চাহনি!
মিয়ানমারের কোয়াং চিমন গ্রাম থেকে এই বৃদ্ধ দম্পতি দশ দিন ধরে হেঁটে এসেছেন আঞ্জুমান পাড়ায়।
সীমান্তের ওপার থেকে কুড়িয়ে এনেছেন কিছু ডাল, কাঠ। এপারে এসে মাথা গোঁজার একটু ঠাঁই পেয়েই হাড়িতে চাল চড়িয়েছেন পরিবারের ছয় সদস্যের জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭
আরআই