বুধবার (২৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাগেরহাটের শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে আত্মসমর্পণকৃত সুন্দরবনের সাবেক দস্যুদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে আর্থিক অনুদান দেয়ার সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবন রক্ষার্থে আন্তরিক।
দস্যুদের মামলার ব্যাপারে তিনি বলেন, যেসব দস্যুরা আত্মসমর্পণ করেছেন। তাদের সব মামলা প্রত্যাহার করা হবে। তবে যাদের নামে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা আছে। তাদের আইনের মুখোমুখি হতে হবে।
এসময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি টিপু মুন্সী এমপি, ডা. মোজাম্মেল হোসেন এমপি, তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি, মীর শওকাত আলী বাদশা এমপি, সংরক্ষিত মহিলা এমপি হেপি বড়াল, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক-৪ কবির বিন আনোয়ার, পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহিদুল হক, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জোর্তিময় দত্ত, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুস সামাদ, খুলনা রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত ডি আই জি মো. একরামুল হাবীব, র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আনোয়ার উজ-জামান প্রমুখ।
এসময় দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আত্মসমর্পণ করা সুন্দরবনের ১২টি দস্যু বাহিনীর ১৩২ জন সদস্যকে স্বাবলম্বী করতে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে এক লাখ টাকা করে চেক, মোবাইল ফোন ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে উপহার সামগ্রী দেয়া হয় এবং এক্সিম ব্যাংকের পক্ষ থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে ১২৬ জন দস্যু উপস্থিত ছিলেন। আর ছয়জনকে অনুদান পৌঁছে দেয়া হবে। দস্যুদের হাতে অতিথিরা উপহার সামগ্রী তুলে দেন।
২০১৬ সালের ৩১ মে থেকে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত র্যাবের তৎপরতায় সুন্দরবনে ১২টি দস্যু বাহিনীর ১৩২ জন সদস্য আত্মসমর্পণ করে। এসময় তারা ২৪৭টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১২ হাজার ৪৯০ রাউন্ড গুলি জমা দেন। এছাড়া গত কয়েক বছরে র্যাব সদস্যরা প্রায় সাড়ে ৩শ’ দস্যুকে আটক করে। তাদের হাতে নিহত হয় ১১৭ জন দস্যু।
র্যাবের মহাপিরচালক বেনজির আহমেদ বলেন, র্যাবের প্রচেষ্টায় আজকের এ ঘটনা ঘটেছে। উপকূল ও সুন্দরবনকে আমরা রক্ষা করবোই। সুন্দরবনকে রক্ষা করতে ইতোমধ্যে আমরা আত্মসমর্পণকৃত নিহত ও আটক মিলিয়ে ৬শ’ দস্যুকে সুন্দরবন থেকে উঠিয়ে এনেছি। একই সঙ্গে দেড় হাজার অস্ত্র উদ্ধার করেছি। পাশাপাশি ৪০ হাজার রাউন্ড গোলাবারুদ থেকে সুন্দরবনকে রক্ষা করেছি।
যারা সুন্দরবনে দস্যুতা করছে তাদের হুঁশিয়ার করে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, আপনারা যদি সুস্থ জীবনে ফিরে আসেন। আপনাদের সহযোগিতা করবো। যদি ফিরে না আসেন আপনাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৭
আরবি/