বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে দস্যুদের জিম্মিদশা থেকে ফিরে আসা ৮ জেলে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি আহতদের পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে বুধবার (২৩ আগস্ট) ভোর পর্যন্ত এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তবে কোন বাহিনী এ ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানাতে পারেনি ফিরে আসা জেলেরা।
ফিরে আসা জেলেরা হলেন- শাহ আলম কালু, মো. রফিক, সোলায়মান, মো. কবির, আব্দুর রহিম, মো. মুসা, নয়ন ও শাহিন মিয়া। অপহৃত মাঝির মধ্যে সেলিম ফরাজী মালিকানা এফবি রনি ট্রলারের মাঝি সোহরাব, হায়দারের মালিকানা এফবি মায়ের দোয়ার হায়দার ও হানিফা, ফিরোজ বিশ্বাসের মালিকানা এফবি মায়ের দোয়ার মাঝি আবদুল হকের নাম জানা গেছে। তাদের সবার বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলার কালিয়ারখাল, রুহিতা, পদ্মা ও চরলাঠিমারা গ্রামে।
এদের মধ্যে শাহ আলম কালু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সুন্দরবনের নারিকেলবাড়িয়া ও কচিখালী এলাকায় সারিবদ্ধভাবে ট্রলার অপেক্ষা করছিল। এসময় একটি ট্রলারে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জনের সশস্ত্র দস্যু বাহিনী অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে ফেলেন। জেলেরা চিৎকার ও বাধা দিলে দস্যুরা লাঠি দিয়ে তাদের পিটিয়ে আহত করেন। পরে অস্ত্রের মুখে জেলেদের ট্রলারে ঢোকান। এসময় আট মাঝিকে মারধর করে ছেড়ে দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, ওই ট্রলারের ভেতরে অন্তত ৩৫ জন মাঝিকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখা গেছে।
এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের মালিক ফিরোজ বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, তার ট্রলার এবং মাঝি আবদুলসহ ১০ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দস্যুরা।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, দস্যুদের হাতে আহত আটজনকে পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
কোস্টগার্ডের পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার রাত থেকেই আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে ট্রলার মালিকদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত কোনও মাঝি বা ট্রলার উদ্ধার হয়নি। বিভিন্ন পয়েন্টে কোস্টগার্ডের অতিরিক্ত সদস্য টহলে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৭
আরবি/