ঢাকা: ময়না তদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়ার অজুহাতে একটি অপমৃত্যু মামলার তদন্তকাজ নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতার ঘটনা ঘটেছে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায়।
তিনবছর আগের একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ওই থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
শনিবার ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মৃত খুলনার অবসরপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারউল্লাহর ভাই মো: দেলোয়ার হোসেন পাটোয়ারী। এ সময় নিহতের বড়ছেলে এএইচএম কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০০৭ সালে আনোয়ারউল্লাহকে পাগল আখ্যায়িত করে তার প্রথম স্ত্রী তালাকপ্রাপ্ত সাইদা আনোয়ার, এক ছেলে, দুই মেয়ে, মেয়েদের জামাতারা তাকে নানাভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে। খবর পেয়ে আনোয়ারউল্লাহর ভাই প্রবাসী দেলোয়ার হোসেন একই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে ফিরে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। একদিন হাসপাতালে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী আনোয়ারউল্লাহকে রান্না করা সুজি খাওয়ানোর পরপরই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে ওই সময় পুলিশের নিরাপত্তায় তাদের হাসপাতাল থেকে বের করে আনা হয়।
এ ব্যাপারে সোনাডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করতে গেলে ‘আগেই পুলিশ কর্তৃক অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়ে গেছে’ এবং ‘ময়না তদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত নতুন মামলা নেওয়া হবে না’ এমন অজুহাতে মামলা নেওয়া হয়নি।
এরপর তিন বছর ধরে বারবার পুলিশের কাছে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন দেখতে চাইলে পুলিশ তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদেরকে পারিবারিকভাবে বিষয়টি মীমাংসা করে নেওয়ার কথা বলে। এছাড়া মামলা তুলে নিতে তাদের নানাভাবে হুমকিও দেওয়া হয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ জুন মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন দেলোয়ার হোসেন পাটোয়ারী।
আইন তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যাবে এবং তার ভাইয়ের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটিত হবে এমনটাই আশা করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময় : ১৮৫৭ ঘণ্টা, ২১ আগস্ট, ২০১০।