ভাঙচুরের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় তা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। দোষীদের গ্রেফতারে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় ভিডিওটি সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দুই যুবক স্কুলের শহীদ মিনারে লাথি মারছে। একপর্যায়ে তারা শহীদ মিনারের কিছু অংশ ভেঙে তা নিয়ে উল্লাস করছে। এ ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সবমহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
শনিবার (২২ জুলাই) স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্র সাকিব শেখকে ক্লাস থেকে ৭ দিনের জন্য মৌখিকভাবে বহিষ্কার করা হয়। ঘটনার জেরে রোববার (২৩ জুলাই) সহকারী প্রধান শিক্ষক মতিয়ার হোসেনকে লাঞ্ছিত ও প্রধান শিক্ষকের কক্ষ ভাঙচুর করা হয়।
এ ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৫/৭ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে কোটালীপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ এ মামলায় গ্রেফতারকৃত সাকিব শেখকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিমাংশু কুমার পান্ডে বাংলানিউজকে বলেন, শহীদ মিনার অবমাননা ও আংশিক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। পুলিশ ভিডিও ফুটেজ দেখে দোষীদের চিহ্নিত করতে কাজ করছে।
কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, রোববার (২৩ জুলাই) স্কুলে ভাঙচুর ও সহকারী শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা হয়। ওই দিন শহীদ মিনার অবমাননা ও আংশিক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভিডিও চিত্র দেখে আমরা দুই যুবককে চিহ্নিত করেছি। তাদের নাম-ঠিকানা আমাদের কাছে আছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তা বলা যাচ্ছে না। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৭
জিওয়াই/আরএ