তবে সেই সময় পাওয়া অভিযোগে ছবি বিকৃতির কোনো বিষয় শোনা যায়নি বলে জানিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান।
শুক্রবার (২১ জুলাই) দিবাগত রাতে বাংলানিউজকে মোবাইলফোনে তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুর ছবি যথাযথভাবে না ছাপানোর বিষয়ে অভিযোগ পান তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনার মো. গাউস।
জেলা প্রশাসক বলেন, বিভাগীয় কমিশনার অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি দেখতে বলায় তৎকালীন আগৈলঝাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী তারিক সালমনকে কারণ দর্শাতে নোটিশ দেওয়া হয়। যে নোটিশে শুধু উল্লেখ করা হয়, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০১৭ এর আমন্ত্রণপত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রকাশ না করার কথা।
ওই নোটিশের উত্তরে তারিক সালমন মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে শিশুদের মাঝে পরিচিত করিয়ে তোলার কথা বলেছিলেন। যেজন্য ছবি আঁকা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেই আয়োজনে শিশুদের আঁকা ছবি দিয়েই স্বাধীনতা দিবসের আমন্ত্রণ কার্ড তৈরি করা হয়।
পরবর্তীতে গাজী তারিক সালমনের নোটিশের ওই জবাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিভাগীয় কমিশনারের কাছে পাঠানো হয়।
যদিও এসব ঘটনার পরই গাজী তারিক সালমনকে বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া থেকে বরগুনা সদরে বদলি করা হয়। তবে তার বদলির আগেই বিভাগীয় কমিশনার মো. গাউস বদলি হয়ে যান।
এদিকে সেই কার্ডের পেছনের পাতায় ছাপা হওয়া ছবিটির জন্যই ইউএনও গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজু।
যিনি তার মামলায়, ছবি সামনের পাতায় না ছাপিয়ে পেছনের পাতায় ছাপানো ও বঙ্গবন্ধুর বিকৃত ছবি ছাপানোর অভিযোগ আনেন। পাশাপাশি মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, এতে করে সমগ্রজাতি অপমানিত হয়েছে। যা টাকার বিনিময়ে পরিশোধ করা যায় না। আসামির পদমর্যাদা বিবেচনা করে ৫ কোটি টাকার মানহানি মামলা হয়েছে।
এরপর মামলায় বিচারক সমনের জন্য ১৯ জুলাইকে নির্ধারণ করলে, সেই দিন আদালতে আসেন ইউএনও গাজী তারিক সালমন। প্রথমে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিলেও পরে একই আদালত তা প্রত্যাহার করে জামিন মঞ্জুর করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৭
এসএম/এমএস/এমজেএফ