সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউনেস্কোর ‘হ্যা’ বা ‘না’ মতামতে এ প্রকল্প আটকাবে না। কেননা, একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের ওপর হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা নেই ইউনেস্কোর।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত এ বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। এ রাষ্ট্রে কী প্রতিষ্ঠা হবে, তা সরকার নির্ধারণ করে। ইউনেস্কোর কোনো ক্ষমতা নেই যে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বন্ধ বা চালু রাখার।
সম্প্রতি সুন্দরবন নিয়ে ইউনেস্কো যে প্রতিবেদন দিয়েছে, এতে সরাসরি কোনো অবস্থান নেয়নি সংস্থাটি। ২০১৬ সালে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে তাদের প্রতিবেদনে যেসব সুপারিশ ছিল, সেগুলোই ২০১৮ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে বলেছে।
তবে সরকার যদি সেসব সুপারিশ না মানে, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড হ্যারিজেট কমিটির ৪২তম অধিবেশনে সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐহিত্যের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে। এতে বেশি কিছু ক্ষতি হবে বলে আমি মনে করিনা। বাংলাদেশের অনুরোধেই ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো সুন্দরবনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ২০১৮ সালে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র যে অবস্থায় এগিয়ে যাবে, সেখান থেকে ফিরে আসার সম্ভবনা কম। আর ইউনেস্কো রামপাল বিষয়ে যেসব সুপারিশ দিয়েছিল তার কিছু অংশ ইতিমধ্যেই বাস্তবায়ন হয়েছে।
এদিকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জন্য একটি এসইএ (পরিবেশের টেকসই মূল্যায়ন) চালানোর আহ্বান জানিয়েছে ইউনেস্কো। এক্ষেত্রে এসইএ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বড় আকারের অবকাঠামো (রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ) কিংবা শিল্প স্থাপনার অনুমোদন না দেওয়ার কথা বলেছে সংস্থাটি। সরকার বর্তমানে এটি মেনে নিয়েছে।
২০১৩ সালে সুন্দরবনের অদূরে বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক ১ হাজার ৩শ ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ২০১৯ সালের মধ্যে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদনে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
কেজেড/ইইউডি/বিএস