স্থানীয়রা জানান, ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাটোর সফরে এলে শহরের মধ্যে দিয়ে যাওয়া সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার ঘোষণা দেন। কিন্তু পরবর্তীতে প্রশস্তকরণ সড়ক হিসেবে এর নির্মাণ প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়।
কিন্তু দীর্ঘদিনেও এই প্রকল্পের কাজ শুরু না হওয়ায় শহরের যানজটসহ ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের জন্য দুই বছর আগে সড়কের মাঝে কংক্রিটের পিলার বসিয়ে বাঁশ দিয়ে ডিভাইডার বানানো হয়। এভাবে বাঁশের ডিভাইডার বানিয়ে দুই লেন করেও পথচারী বা যানবাহন চালকদের বেপরোয়া চলাচল থামানো যায়নি।
হালকা যানবাহন বিশেষ করে ইজিবাইক, রিকশা, মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল চালকদের পাশাপাশি পথচারীদের বেপরোয়া রাস্তা পারাপারের জন্য দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশদের প্রায়ই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান, ইস্রাফিল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও বিনা বাধায় ওই ডিভাইডারের বাঁশ টপকে রাস্তা পার হন। এতে কখনও কখনও ছোট খাটো দুর্ঘটনার শিকারে পড়তে হয় পথচারীদের।
নাটোর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রামানিক বাংলানিউজকে জানান, আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। প্রথম পর্যায়ে কিছু অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার পর প্রকল্পটি বাস্তবায়নে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, চলতি অর্থ বছরের শুরুতেই কাজ শুরু হবে। শুরুতে সাইড ওয়াড লেবেলিং এর কাজ করা হবে। এরপর ডিভাইডার কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। আগামী দেড় বছরের মধ্যে প্রকল্পটি দৃশ্যমান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
এনটি