ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কমেছে ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘটের পানি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৭
কমেছে ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘটের পানি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

গাইবান্ধা: ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি কমে গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ভাঙনের কবলে পড়েছেন বানভাসিরা।

এদিকে, বন্যার পানি কিছুটা কমলেও জেলার চার উপজেলার ৩০টি ইউনিয়নের ১৯৪টি গ্রাম ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া এসব গ্রামের প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে রয়েছেন।

সে সঙ্গে তীব্র ভাঙনের কবলে পড়ে জেলায় তিন শতাধিক পরিবার তাদের বাড়ি-ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া ভাঙনে দুই শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।

এদিকে, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার অধিকাংশ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তারা এখন বিভিন্ন উঁচু স্থান, রেল লাইন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আশ্রয় কেন্দ্রে আশয় নিয়েছেন।

এছাড়া এসব চরের ঘর-বাড়ি, আবাদি জমি, পুকুরের মাছ সব কিছু তলিয়ে গেছে। পানিতে টয়লেট ও টিউবওয়েল ডুবে যাওয়ায় আরো ভোগান্তি বেড়েছে এখানকার মানুষদের। গত সাতদিনে এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানীয় জলের সংকট। সে সঙ্গে শুকনা খাবার, স্যালাইন ও পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী।

বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে ১৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮১ কিলোমিটার কাঁচা-পাকা রাস্তা। এছাড়া ২৫৪ হেক্টর পাট, আউশ ধান, আমন বীজতলা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।

তবে, বর্ন্যাতদের জন্য ৮২টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এরমধ্যে ৩৪টি আশ্রয় কেন্দ্র চলমান থাকায় ৪ হাজার ৯২০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য ৮৫টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

শনিবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার কমে (স্বাভাবিক লেভেল ১৯ দশমিক ৮২) বিপদসীমার ২০ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ঘাঘটের পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার কমে (স্বাভাবিক লেভেল ২১ দশিমক ৭০) বিপদসীমার ২১ দশমিক ৮২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিস্তা ও করতোয়ার পানি অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান।

জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল জানান, এ পর্যন্ত বরাদ্দকৃত ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে ৩২৫ মেট্রিক টন চাল, ১৮ লাখ টাকা এবং ৪ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ২৯৫ মেট্রিক টন চাল ও ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৭
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।