কুষ্টিয়া: বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে বোমা হামলা থেকে নিজের জীবন দিয়ে শেখ হাসিনার জীবন বাঁচিয়েছিলেন তার দেহরক্ষী মাহবুব রশিদ।
মাহবুবের সেই অকাল মৃত্যু বদলে দিয়েছে তার পরিবারের জীবনচিত্র।
মাহবুবের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামে। তার বাবা ৭০ বছরের বৃদ্ধ হারুন-অর-রশিদ এখনও ছেলে হারানোর শোকে কাতর। প্রায়ই অসুস্থ থাকেন। মা হাসিনা বেগমও অসুস্থ। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেন না। অভাব-অনটনে চলছে সংসার। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা তার দুই ছেলেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দিলেও ওই প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা এখন বেকার।
মাহবুবের বাবা হারুন-অর-রশিদ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার দুই মেয়েকে চাকরি দেওয়ার ঘোষনা দিলেও আজো তারা চাকরি পায়নি। গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে কতিপয় কর্মকর্তা আমাকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে দেন না। ’
তার বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একবার দেখা করার সুযোগ পেলে অবশ্যই তার দুই মেয়ের চাকরি হতো।
মাহবুবের স্ত্রী শামীমা আক্তার জানান, প্রধানমন্ত্রী তার দুই ছেলের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন। মাসে ৩ হাজার টাকা ভাতা পান। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ট্রাষ্ট থেকে পান দুই হাজার টাকা, স্বামীর পেনশন আরো ১৮ শ’ টাকা। সব মিলিয়ে পান ৬ হাজার ৮ শ’ টাকা। তবে দুর্মূল্যের বাজারে এ টাকায় চলা বড় কঠিন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১০