ঈদের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার (২৭ জুন) শহীদ কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় মানুষের ঢল নেমেছে। রাজশাহী শিশুপার্ক, আইওটি বাঁধ, বড়কুঠি, শিমলা পার্ক, পদ্মা গার্ডেন, ভাদ্রা পার্কসহ বিভিন্ন বিনোদন স্পটেও উপচেপড়া ভিড়।
বিনোদন পিপাসুদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠেছে এসব বিনোদনকেন্দ্র। ভ্রাতৃত্ব আর সৌহার্দের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সবাই প্রাণভরে উপভোগ করছেন ঈদের বাঁধভাঙা খুশি ও অনাবিল আনন্দ।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল না হতেই মিলে-মিশে ঈদ আনন্দ উপভোগে সবাই একযোগে বেরিয়ে পড়ছেন। তাই বেড়ানোর প্রধান বাহন রিকশা-অটোরিকশার কদর তুঙ্গে। এ সুযোগে রিকশা ও অটোরিকশা চালকরা মানুষের কাছ থেকে দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া হাঁকাচ্ছেন।
বিকেল থেকে কয়েকটি পয়েন্টে হাল্কা যানজট দেখা দিলেও কারও দুর্ভোগের কারণ হচ্ছে না।
শহীদ কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় বেড়াতে আসা রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের দিন পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থান থেকে জড়ো হন বাড়িতে, আসেন অতিথিরাও। সকলকে আপ্যায়ন করতে করতেই দিন পার হয়ে যায়। সবাই এক সঙ্গে হওয়ার আনন্দ তখন ঘোরাঘুরির চেয়েও বেশি মনে হয়। তাই বাড়ির ছোটদের নিয়ে ঈদের পরের দিনই বেড়ানোর উপযুক্ত সময়।
এক্ষেত্রে শহীদ কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানাই পছন্দের প্রথমে থাকে। কারণ, এখানে এক সঙ্গে জীব-জন্তু, প্রাকৃতিক পরিবেশ ও আনন্দ-বিনোদনের বিভিন্ন রাইডস্ রয়েছে।
তিন বছরের শিশু সন্তান সাফাকে নিয়ে রাজশাহী শিশুপার্কে বেড়াতে আসা মোস্তফা আনোয়ার ও আফরিন দম্পতি বাংলানিউজকে বলেন, তারা দু’জনই সরকারি চাকরিজীবী। বুধবার (২৮ জুন) অফিস খুলছে। কংক্রিটের নগর জীবনে শিশুদের বিনোদন দিতে তাই এখানে আসা। সাফাও বেজায় খুশি। বিভিন্ন রাইডে উঠে আনন্দ উপভোগ করছে। তাই ভিড়ে কিছুটা কষ্ট হলেও উৎসবের আমেজে তা মনে লাগছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৭
এসএস/এএসআর