মঙ্গলবার (২৭ জুন) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, যানজটের দুটো কারণ। প্রথমত যে গাড়িগুলো আসছে সেগুলো চিড়িয়াখানার সামনের চত্বরে লোক নামিয়ে দাঁড়িয়ে লোক উঠাচ্ছে।
কর্তব্যরত ট্রাফিক কনস্টেবল মো. ফরিদ বাংলানিউজকে বলেন, কোনোভাবেই ম্যানেজ করা যাচ্ছে না। কেননা, একটি গাড়ি যদি লোক-নামাতে ওঠাতে ১ মিনিট করেও দাঁড়ায় পেছনে বেশ কিছু সংখ্যক গাড়ি আটকে থাকে। কেননা, বাসের ফাঁকে ফাঁকে রয়েছে সিএনজি, অটোরিকশা, রিকশা, লেগুনার আর মোটরসাইকেলও। তবে আমাদের তৎপরতায় একবারে কেউ দাঁড়াতে পারছে না। কিন্তু আরেক ঝামেলা হচ্ছে ‘পার্কিং টোল’।
যে গাড়িগুলো চিড়িয়াখানার দিকে আসছে সেগুলো বেরিয়ে যাওয়ার সময় পার্কিং টোল দিচ্ছে। এছাড়া থেমে থেমে যাত্রীও তুলছে। ফলে এক মিনিট করে রাস্তা আটকে থাকলেও তীব্র জ্যাম সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে জ্যামের কারণে ছোট-ছোট ছেলে মেয়ে নিয়ে অনেকের আনন্দই মাটি হয়ে যাচ্ছে। বাচ্চারা গরমে কান্নাকাটি করছে। এই অবস্থায় অনেক বাবা-মা পায়ে হেঁটেই রওনা দিচ্ছেন।
যাওয়ার সময়ও একই অবস্থা। জ্যামের কারণে বেশির ভাগই বাসে ওঠছেন না। পায়ে হেঁটেই অনেক দূর পর্যন্ত আসতে হচ্ছে।
রূপা হক নামের এক দর্শনার্থী বাংলানিউজকে বলেন, আনন্দ করতে এসে কষ্টই হলো বেশি। গাড়িগুলো এভাবে আটকে থাকলে খুব সমস্যা হয়। ট্রাফিক পুলিশকে জ্যাম সমাধানের অন্য পন্থা বের করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৭
ইইউডি/বিএস