ঈদের আগেরদিন রোববার (২৫ জুন) বিকেলে শহরের বাহাদুর বাজার, স্টেশন রোড, মালদহপট্টি, ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড, পুলহাটসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এবার স্থানীয় সেমাইয়ের দখলে বাজার। স্থানীয় সেমাই কদর পাওয়ায় ব্যবসায়ীরাও খোশ মেজাজে।
দিনাজপুরের বাজারে রলেক্স বেকারি, ইউসুফ বেকারি, পাবনা সুইট, উজ্জ্বল সুইট, সানন্দা, রকি বেকারি, বৈশাখী, মিষ্টিমুখসহ শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঘি ও ডালডায় ভাজা লাচ্ছা পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও লাচ্ছার সঙ্গে রয়েছে ঝুড়িসহ কয়েক আইটেমের সেমাই।
শহরের সেমাই বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে বিকেল থেকেই ভিড় জমতে শুরু করে। খোলা থাকবে সারারাত। দিনাজপুর শহরের স্টেশন রোড এলাকায় মো. মমিনুল হক নামের এক সেমাই ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, গুণে-মানে এক হওয়ায় স্থানীয় সেমাইকে অগ্রাধিকার দিয়ে কিনছি। একই প্রকার মান হলেও স্থানীয় সেমাইয়ের কম।
তিনি আরও জানান, বাইরের এক কেজি সেমাই কিনতে লাগছে এক হাজার টাকা থেকে ১২শ টাকা। আর একই মানের স্থানীয় সেমাই কিনতে লাগছে ৭শ থেকে ৮শ টাকা। এক কেজি সেমাইয়ে দুই থেকে তিনশ টাকার পার্থক্য। এজন্যই এবারের ঈদে আমরা স্থানীয় সেমাই কিনছি।
দিনাজপুর বাহাদুর বাজার মোড় এলাকার সেমাই বিক্রেতা বিমল চন্দ্র দাশ বাংলানিউজকে বলেন, অন্য ঈদের তুলনায় এবার ঈদে স্থানীয় সেমাইয়ের চাহিদা অনেক বেশি। বাইরে থেকে আমদানি করা সেমাই বোঝাই হয়ে পড়ে আছে। এবার স্থানীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সেমাইয়ের মান উন্নত করেছে। তাই গ্রাহকরা আর বাইরের সেমাইয়ের দিকে নজর দিচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
এএ