ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এক হাজার ইউনিয়নে হচ্ছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক 

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৫ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৭
এক হাজার ইউনিয়নে হচ্ছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক  প্রতীকী

ঢাকা: প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত শক্তিশালী কমন নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে ৩৩৯ উপজেলার এক হাজার ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল নেটওয়ার্ক উন্নয়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। 

‘টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক প্রকল্পটির চার বছরের মেয়াদ আগামী মাসেই শেষ হবে। অথচ এখনও ৫২টি উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়নি।

আর সব মিলিয়ে আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৭১ শতাংশ।  

বাকি সময়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে না বলে আরও ছয় মাস মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবনা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বিটিসিএল। ফলে গ্রামাঞ্চলে উন্নতমানের ইন্টারনেট, ব্রডব্যান্ড পেনিট্রেশন এবং টেলিকম ও তথ্য প্রযুক্তি সেবা বাড়ানোর কাজ আরও পিছিয়ে যাচ্ছে।
 
বিটিএল সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের জুলাই মাসে প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে গত বছরের জুন পর্যন্ত তিন বছরে বাস্তবায়নের কথা ছিল। তবে কাজ শেষ না হওয়ায় এক বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়। পাশাপাশি ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৫৯১ কোটি টাকা।


সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় উপজেলাগুলোতে মোট ৮ হাজার ৭৫৭  কিলোমিটার ডাক্ট, ৮ হাজার ৭৫৭ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল, প্রয়োজনীয় অপটিক্যাল ট্রান্সমিশন, আইপি নেটওয়ার্ক ও পাওয়ার সরঞ্জাম স্থাপনের কথা। কিন্তু এ পর্যন্ত মোট ৬ হাজার ৩৪২ কিলোমিটার ডাক্ট ও ৫ হাজার ৬৯০ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল এবং ২০৩টি উপজেলায় অপটিক্যাল ট্রান্সমিশন, আইপি নেটওয়ার্ক, পাওয়ার সরঞ্জাম সরবরাহ ও স্থাপিত হয়েছে।  

চারটি উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল নেটওয়ার্ক স্থাপন কারিগরিভাবেই সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে ভৌগোলিক কারণে ভোলা সদর, সমুদ্র উপকূলবর্তী সন্দ্বীপ, হাতিয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া, বড় নদী তীরবর্তী রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি, লংদু, জুরাইছড়ি, বিলাইছড়ি ও বরকল এবং বরিশালের মুলাদী, মেহেদীগঞ্জ ও হিজলা উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ দেওয়া যাচ্ছে না।  
প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ মইনুদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ক্যাবল স্থাপনে মাটি কাটার কাজ করতে হয়। ধান কাটার মৌসুম ও রমজান মাসে শ্রমিক পাওয়া যায় না। রাস্তা কাটার জন্য কোনো বাড়তি ব্যয়ও প্রকল্পে রাখা হয়নি। ফলে আমাদের সতর্ক হয়ে রাস্তা কাটার কাজ করতে হচ্ছে। যে কারণে প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায় আরও ছয় মাস বাড়ানো হবে’।
 
তিনি বলেন, ‘আরও কিছু উপজেলাকে প্রকল্পে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। তবে আশা করছি, বর্ধিত ছয় মাসের মধ্যেই সম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে পারবো’।
 
প্রকল্পটির বাস্তবায়ন অগ্রগতি মূল্যায়নে গত ২৪ এপ্রিল কয়েকটি প্রকল্প এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। পরিদর্শক দলের প্রধান আইএমইডি’র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, সংশোধিত ডিপিপিতে অন্তর্ভূক্ত নতুন ৫২টি উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম কিনতে হবে। সব কাজ শেষ করতে চারটি লটে তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মেয়াদ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু এ মেয়াদে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে না বলে আরও ছয় মাস লাগবে।

বাংলাদেশ সময়: ০০২৪ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।