রোববার (২১ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মহলটি এরইমধ্যে গণতন্ত্রকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে বলছে, আগুন, সন্ত্রাসী ও জঙ্গির সমর্থকরা নির্বাচনে না এলে গণতন্ত্র কলঙ্কিত হবে।
‘আগামী নির্বাচনে রাজাকার সমর্থিত চক্রকে পা ধরে নিয়ে আসতে হবে, না হলে গণতন্ত্র নষ্ট হয়ে যাবে, এমন রাজনীতি ইনু করে না, এর মধ্যে ইনু নেই। ’
তিনি বলেন, যারা সশস্ত্র জামায়াতকে ছাড়তে পারে না, জঙ্গিবাদকে হালাল করতে চায় এবং একটানা ৯৩ দিন আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশকে অচল করে অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলো, তাদের জন্য কিছু গণমাধ্যমের এতো মায়া কেনো?
তথ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, যদি গণমাধ্যম রাজাকারকে রাজাকার বলতে পারে, জঙ্গিকে জঙ্গি বলতে পারে, তবে আগুন সন্ত্রাসের মদদদাতাকে কেনো আগুন সন্ত্রাসী না বলে দেশনেত্রী বলে?
তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম একই হাতের এপিঠ-ওপিঠ। যেহেতু শেখ হাসিনার সরকার দেশে শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন, তাই গণমাধ্যম আমাদের সাহসী সঙ্গী। আমরা সাড়ে ৭০০ পত্রিকার ডিক্লারেশন দিয়েছি। এফএম রেডিও, কমিউনিটি রেডিও দিয়েছি। নতুন নতুন টিভি স্টেশনের লাইসেন্স দিয়েছি। আমরা গণমাধ্যমে আমাদের সমালোচনাকে আমন্ত্রণ জানাই, পছন্দ করি। কিন্তু মিথ্যাচার ও উস্কানিপত্রকে পছন্দ করিনা।
অনুষ্ঠানের শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতায় গিয়ে জিয়াউর রহমান সাড়ে ১৩ হাজার যুদ্ধাপরাধীকে মুক্তি দিয়েছিল। যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমকে দেশে এনে রাজনীতির সুযোগ দিতে নাগরিকত্ব দিয়েছিল।
তিনি বলেন, এরপর দেশকে পাকিস্তানপন্থি রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা চলেছে দুই যুগ। সেই অবস্থা থেকে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আনতে কষ্ট হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭
আরএম/জেডএস