ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জঙ্গি আবু’র এমন পরিণতি চাননি মা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৭
জঙ্গি আবু’র এমন পরিণতি চাননি মা আবুর শয্যাশায়ী মা ফুলসানা বেগম/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: অবাধ্য হওয়ায় ছেলেকে বাড়ি ছাড়তে বলেছিলেন বাবা-মা। একদিন আগে ঈদ করা, সব ইমামের পেছনে নামাজ আদায় না করা, নামাজ শেষে মোনাজাত না করা ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে সমাজে বিব্রত পরিস্থিতিতে ছিলেন রফিকুল ইসালম ওরফে আবু’র (জঙ্গি) পরিবারের সদস্যরা। ধর্মপালন নিয়ে ছেলের এসব নতুন নিয়ম-কানুন কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি।

আজ অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে আছেন মা ফুলসানা বেগম। বাবা আফসার আলীও জামায়াত সমর্থক।

কৃষিকাজ করেন। ছোট ছেলে সবুর আলী পেশায় রাজমিস্ত্রি। কৃষি কাজ আর ছোট ছেলের আয় দিয়েই সংসার চলে।

বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে বড় ছেলে আবুর শিবপুরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, শয্যাগত হয়ে বসছেন ফুলসানা বেগম। মুখে রা শব্দটিও নেই। কেমন আছেন তাও বলতে পারেননি। এক প্রশ্নের জবাবে চোখের ইশারায় কেবল বলেন, ‘ছেলের এমন পরিণতি তিনি চাননি’!

আফসার আলীর ছোট ছেলের স্ত্রী রুনা খাতুন বলেন, মাত্র একমাস আগেই আবুর ছোট ভাই সবুর আলীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছে তার। এজন্য আবুর সম্পর্কে তেমন কিছু জানা নেই। তবে শাশুড়ির মুখে শুনেছেন একদিন আগে ঈদ করতেন তিনি। এজন্য মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় তাদের (আবুর পরিবার)।

এ বাড়িতে যাতায়াত ছিলো আবুর দুই মেয়ের। বড় মেয়ের নাম নূরি (০৭) ও সাজেদা (৫)। এর মধ্যে ছোট মেয়ে সাজেদাকে নিয়ে মঙ্গলবার রাতে মায়ের সঙ্গে দেখা করে গেছেন আবু- জানান রুনা খাতুন।

আবুর ছবির কথা জিজ্ঞেস করলে রুনা বলেন, তিনি (আবু) ছবি তোলেন না। আর ছোট বেলার ছবি বাড়ি ছাড়ার সময় নিয়ে গেছেন।

৯ বছর আগে বিয়ের পরপরই আলাদা হয়ে যান আবু। নীতির সঙ্গে মিল রেখে বিয়েও করেন। তার শ্বশুর বাড়ি কানসাটের আব্বাস বাজারে। কিন্তু মঙ্গলবার গভীর রাতে সেখানে অভিযান চালিয়ে কাউকে আটক করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৭
এসএস/ওএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।