ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এখনও পলাতক রানা প্লাজা মামলার সাত আসামি

মবিনুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
এখনও পলাতক রানা প্লাজা মামলার সাত আসামি

ঢাকা: ঢাকার সাভারে ইতিহাসের ভয়াবহতম রানা প্লাজা ধসের পর দায়ের করা মামলার চার বছরেও গ্রেফতার হননি সাত আসামি। এখনও পলাতক ওই সাত আসামির মধ্যে ছয় আসামির বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা বিনা তামিলে ফেরত দেওয়া হয়েছে। বাকি এক আসামিকে গ্রেফতার করা না গেলেও তার মালামাল ক্রোক করা হয়েছে।

পলাতক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার আওগান খান সাকিনের আমজাদ পাটোয়ারি বাড়ির মাহবুবুর রহমান। তিনি ঘটনার সময় সাভার পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী ছিলেন।


 
অন্য পলাতক আসামিরা হলেন- খুলনা সদরের মুসলমানপাড়া রোডের স্থায়ী বাসিন্দা সাভার পৌরসভার নগর পরিকল্পনাবিদ ফারজানা ইসলাম। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সাদীপুর গ্রামের মনোয়ার হোসেন বিপ্লব, খুলনা নগরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কবি নজরুল ইসলাম সড়কের পশ্চিম টুটপাড়ার সৈয়দ শফিকুল ইসলাম জনি, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সন্তোষপুর গ্রামের রেজাউর ইসলাম ও নান্টু কন্ট্রাকটার এবং ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার বাঙ্গুরাহাটি গ্রামের নয়ন মিয়া।
 
মামলার নথি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আসামি নয়ন ছাড়া সকল আসামির গ্রেফতারি পরোয়ানা বিনা তামিলে ফেরত এসেছে। আসামিদের ঠিকানা সঠিক নাই বা ওই ঠিকানায় আসামি বসবাস করেন না বলে পরোয়ানা তামিল করা সম্ভব হয়নি মর্মে পরোয়ানা ফেরত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। আর একই কারণে ক্রোকি পরোয়ানা তামিল করাও সম্ভব হয়নি।
 
তবে আসামি নয়ন মিয়ার ঠিকানায় গিয়ে তাকে না পাওয়ায় তার মালামাল ক্রোক করা হয়েছে। ক্রোক করা মালামাল হলো একটি কাঠের চৌকি ও একটি কাঠের আলমারি।
 
জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে বলেন, বেশ কয়েকজন আসামির বিরুদ্ধে জারি করা পরোয়ানা ফেরত এসেছে। আসামিদের আত্মসমর্পণে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। অন্য আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেও এ সাতজন পলাতক রয়েছেন। বিচারিক আদালত তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে পরোয়ানা জারি করে তাদের গ্রেফতারে পুলিশকে নির্দেশ দেবেন।
 
পলাতক সাত আসামির মধ্যে মাহবুবুর রহমান ও ফারজানা ইসলাম রানা প্লাজা দুর্নীতি মামলায়ও পলাতক আছেন।   
 
রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় হত্যা, ইমারত ও দুর্নীতি দমন আইনে দায়ের করা তিন মামলার একটিরও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি।

মামলা তিনটির হত্যা মামলাটি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এসএম কুদ্দুস জামান, দুর্নীতি মামলাটি বিভাগীয় বিশেষ জজ এম আতোয়ার রহমান ও ইমারত নির্মাণ আইনের মামলাটি ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে বিচারাধীন।  
 
ঢাকার জেলা প্রশাসক অফিসে রক্ষিত হিসাব অনুসারে, রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে ২ হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত এবং ১ হাজার ১১৭ জনকে মৃত উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১৯ জন মারা যান। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১ হাজার ১৩৬ জনে। ১ হাজার ৫২৪ জন আহত হন। ২৯১ জনের মরদেহ অশনাক্ত অবস্থায় জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭ 
এমআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।