ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

প্রাণভিক্ষা চাইবেন মুফতি হান্নান-বিপুল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৩ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৭
প্রাণভিক্ষা চাইবেন মুফতি হান্নান-বিপুল তিন জঙ্গির মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন দু’জন

ঢাকা: রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন বলে কারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের শীর্ষনেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ও শরীফ শাহেদুল বিপুল।

সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুফতি হান্নান ও বিপুলকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। সেখানে ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে করা তাদের রিভিউ আবেদন খারিজের রায় পড়ে শোনানো হয় বুধবার (২২ মার্চ) সকালে।

এরপর আইন অনুসারে সর্বশেষ সুযোগ হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি-না, তা জানতে চান কারা কর্মকর্তারা। হঁ্যা সূচক জবাব দিয়ে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানানোর কথা জানান মুফতি হান্নান ও বিপুল।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘সকাল দশটার পরে দুই আসামিকে তাদের ফাঁসির সর্বশেষ রায়টি পড়ে শোনানো হয়। তারা দু’জনই পরে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানাবেন বলে জানিয়েছেন। আবেদন জানানোর পর আইন অনুসারে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে’।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন জঙ্গির অন্যজন দেলোয়ার হোসেন রিপনকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। রিভিউ খারিজের রায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সেখানেও পাঠানো হয়েছে। পৌঁছানোর পর তা পড়ে শোনানো হবে রিপনকেও।   এরপর তার কাছেও রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি-না, তা জানতে চাওয়া হবে।      

এ আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে সরকারের সিদ্ধান্ত ও জেলকোড অনুসারে ২১ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে (২১ দিনের আগে নয়, তবে ২৮ দিনের মধ্যে) তিন জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর করবে কারা কর্তৃপক্ষ।

এদিকে সকালে সিলেটের বিচারিক আদালত থেকে মৃত্যু পরোয়ানা (ডেথ ওয়ারেন্ট) এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ফাঁসি কার্যকরের আদেশের কাগজপত্র এলে জেলকোড অনুসারে  তিন জঙ্গির ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘রিভিউ খারিজের রায় আইন অনুসারে গেছে সিলেটের বিচারিক আদালত ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। আদালত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ডেথ ওয়ারেন্ট পাঠাবেন। আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফাঁসি কার্যকরের দিনক্ষণসহ আদেশ পাঠাবে। এসব আদেশের অনুলিপি আসবে আমার কাছেও। এরপর জেলকোড মেনে ফাঁসির প্রক্রিয়া শুরু করবো’।

‘তবে আমরা সব সময়ই ফাঁসি কার্যকরে প্রস্তুত থাকি’ বলেও জানান তিনি।

**ফাঁসির রায় শুনলেন মুফতি হান্নান-বিপুল

** মুফতি হান্নানের রিভিউ খারিজের রায় কাশিমপুরে

বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৭
এসজেএ/এএসআর

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।