ঢাকা, শনিবার, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

খুলনার কয়রা থানার ওসিকে অপসারণের দাবি

ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:২৫, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
খুলনার কয়রা থানার ওসিকে অপসারণের দাবি সংবাদ সম্মেলন/ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: খুলনার কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অপসারণের দাবি জানিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগ। উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার সরদারের সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা অভিযোগ করার প্রতিবাদে ওসিসহ তার বিরুদ্ধে শাস্তিম‍ূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তাদের শাস্তির দাবি জানান কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান।

তিনি বলেন, ‘গত ১২ জানুয়ারি কয়রা প্রেসক্লাবে কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার সরদার সংবাদ সম্মেলন করেন।

তিনি মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রম‍ূলক তথ্য দিয়ে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন। এর আগে ১১ জানুয়ারি খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে মৌন মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা কয়রা থানার ওসি’র যাবতীয় অপকর্ম জানিয়ে তার অপসারণের দাবি জানিয়েছিলাম। পরদিন বিজয় কুমার কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শমসের আলীকে রক্ষায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন’।

তিনি আরও বলেন, ‘গত বছরের ২৩ মার্চ আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ ঘটনায় আমাকেসহ ১৩ জন ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে ২৩ মার্চ কয়রা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের কর‍া হয়। ম্যাজিস্ট্রেট দ্রুত বিচার আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই গত বছরের ২৬ জুন তদন্ত প্রতিবেদন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জমা দেন। প্রতিবেদনে ২৩ মার্চের ঘটনা শুধু নির্বাচন পরবর্তী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া বলে প্রমাণিত হয়’।

‘গত বছরের ১ ডিসেম্বর আমি জানতে পারি, কয়রা থানার ওসি ২৭ মার্চ মামলার চার্জশিট জমা দিয়েছেন। ওই মামলায় যারা আদালতে হাজিরা দেন, তাদের জামিন নামঞ্জুর হয়। কিন্তু চার্জশিট স্বাক্ষরিত হয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বর। চার্জশিট স্বাক্ষরের পরে এক সপ্তাহ থেকে পনেরো দিনের ভেতর আদালতে জমা দেওয়ার নিয়ম। কিন্তু ২৩ অক্টোবর আদালতে দিন ধার্য থাকা সত্ত্বেও কয়রা থানা ওসি ওইদিন জমা না দিয়ে চার্জশিট স্বাক্ষরের ২ মাস পর জমা দেন। যা আমরা বাদী-বিবাদী কেউই জানতে পারিনি’।

বিজয় কুমার সরদার এবং ওসির যোগসাজশে এমনটি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মেহেদী হাসান।

সংবাদ সম্মেলনে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
এমআরএম/আরআর/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।