ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রেংমিট্‌চা: বাংলাদেশে যে ভাষায় কথা বলে মাত্র ২৫ জন! 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৭
রেংমিট্‌চা: বাংলাদেশে যে ভাষায় কথা বলে মাত্র ২৫ জন!  বাংলাদেশে যে ভাষায় কথা বলে মাত্র ২৫ জন

পাবর্ত্য চট্টগ্রামে অঞ্চলে এমন এক মাতৃভাষার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যে ভাষায় মাত্র ২৫ জন মানুষ কথা বলেন। এভাষার নাম হল রেংমিট্‌চা ( RENGMITCHA)। 

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট তিন বছর বাংলা ছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠির ভাষার ওপর বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করতে গিয়ে এ ভাষাটির সন্ধান পায়। মিয়ামানমার সীমান্তের কাছে বাংলাদেশের বান্দরবান পাবর্ত্য জেলার গহীন পার্বত্য জঙ্গলে এ ভাষাভাষীর মানুষেরা বসবাস করেন।

 

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. জীনাত ইমতিয়াজ ‌আলী রোববার বাংলানিউজকে এ তথ্য দিয়েছেন।  

তিনি জানান, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র পার্বত্য নৃ-গোষ্ঠিগুলোর মানুষের মাতৃভাষা সম্পর্কে এ পর্যন্ত যে ধারণা ছিল, এবার তা থেকে ভিন্ন চিত্র পাওয়া গেছে। সমীক্ষাটি সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে করা, যার সঙ্গে দ্বিমত করার খুব একটা অবকাশ নেই। বাংলাদেশে কতগুলো মাতৃভাষা রয়েছে সে সম্বন্ধে এতদিন ধরে যে ধারণাটি প্রচলিত ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি ভাষার সন্ধান পেয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট।  

ড. জীনাত ইমতিয়াজ ‌আলীড. জীনাত ইমতিয়াজ ‌আলী এ সম্বন্ধে বলেন, ‘‘রেংমিট্‌চা ( RENGMITCHA) ভাষাটির বড় সমস্যা হল এটির দ্রুত বিলুপ্ত হয়ে যাবার সমূহ আশঙ্কা। কারণ যে ২৫ জনমাত্র মানুষ এই ভাষায় কথা বলেন, কোনো কারণে তাদের সবাই মরে গেলে এই ভাষাটিরও মৃত্যু হবে। কারণ ঐ ভাষায় এরা ছাড়া আর কেউ কথা বলেন, এমনটি এখনও জানা যায়নি। ’’

তিনি জানান, ‘‘একটি টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে দুটি দলে ভাগ হয়ে এ সমীক্ষার কাজ করা হয়েছে। একটি দল ভাষা নিয়ে কাজ করেছে। আর একটি দল কাজ করেছে জাতিসত্তা নিয়ে। বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিয়নে আমাদের এথনেসিটির যে অবস্থান সেটা জিআইএস ম্যাপের মাধ্যমে চিহ্নিত করা আছে। এটা কিছুদিনের মধ্যে উদ্বোধন করা হবে। তখনই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটের ওয়েবপেইজে যে কেউ দেখতে পারবেন। এ থেকে খুঁজে নেওয়া যাবে কোথায় কারা কোন মাতৃভাষায় কথা বলেন। আসলে তারা যেখানে বাস করছে, তাদের গ্রাম পর্যন্ত এই ম্যাপে দেখা যাবে। ’’ 

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৭
কেজেড/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।