ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভ্রাম্যমাণ আদালতের ক্ষমতা ও পরিধি কমছে

রহমান মাসুদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১০
ভ্রাম্যমাণ আদালতের ক্ষমতা ও পরিধি কমছে

ঢাকা: ভ্রাম্যমাণ আদালতের ক্ষমতা ও কাজের পরিধি কমাচ্ছে সরকার। আদালত-সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।



রমজানের আগে খাদ্যে ভেজাল ও বাজার নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআই পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত নিয়ে বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রীর বিরোধের জের ধরেই আদালতের ক্ষমতা কমানোর এ সিদ্ধান্ত আসছে।  

শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া গত মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভেজালবিরোধী অভিযান শুরুর পর বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান বিষয়টি সহজভাবে মেনে নেননি। এ নিয়ে দুই মন্ত্রীর মধ্যে পরোক্ষ বিরোধের পর হঠাৎ করেই ওই অভিযান বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবারের অভিযানে শিল্পমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত বাংলাদেশ এডিবল ওয়েল লিমিটেডের ২৯‘শ কার্টুনে ৪৩ হাজার ৯১৯ লিটার রূপচাঁদা ব্রান্ডের সয়াবিন তেল বাজেয়াপ্ত করে প্রকাশ্য নিলামের জন্য বিএসটিআই এর কাছে হস্তান্তর করে।

বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সরকারি আদেশ এবং বিএসটিআই আইন অমান্য করে তারা প্রতি সপ্তাহে প্যাকেট ও বোতলজাত তেলের দাম চার টাকা করে বাড়িয়ে যাচ্ছিল।

ওই অভিযানের সময় শিল্পমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন থেকে উৎপাদক পর্যায়ে ভেজাল বন্ধ এবং বাজার মনিটরিংয়ে ঢাকায় প্রতিদিন চারটি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে। ’

কিন্তু পরের দিনই বাণিজ্যমন্ত্রীর বিরোধিতায় তার এ ঘোষণা অকার্যকর হয়ে যায়। তখন থেকেই  ভ্রাম্যমাণ আদালত তার কার্যক্রম বন্ধ রাখে।

এ অবস্থায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের ক্ষমতা কমিয়ে তাদের নতুন করে মাঠে নামানোর কথা ভাবা হচ্ছে।

ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্র বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানায়, ভ্রাম্যমাণ আদালতের ক্ষমতা ও তাদের কাজের পরিধি কমিয়ে পরে মাঠে নামানোর চিন্তা করা হচ্ছে। এর ফলে হোটেল রেস্তোরাঁয় অভিযান চালানো ছাড়া আর কোনো বিষয় ভ্রাম্যমাণ আদালতের কর্মপরিধির অর্ন্তভুক্ত থাকছে না।

কেবল বিশুদ্ধ খাদ্য আইন প্রয়োগের জন্য আদালত নামানো হবে বলেও জানায় সূত্র।

তবে ঢাকা জেলা প্রশাসন এবং ভোক্তাদের অভিমত, এতে অসাধু ব্যবসায়ীদের তৎপরতা আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়ে যাবে। যার দুর্ভোগ পোহাবে সাধারণ মানুষ।

এ বিষয়ে বিএসটিআই মহাপরিচালক একে ফজলুল আহাদ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘সরকারি নির্দেশ পেলেই আবার আদালত পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে নির্বাহী হাকিম চাওয়া হবে। ’
তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ক্ষমতা ও পরিধি কমানো হচ্ছে কি না এ বিষয় তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বাংলাদেশ সময় ১৭৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।