ঢাকা: আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর জন্য ফের আবেদন করা হয়েছে।
এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করা হলো।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহ্হার আকন্দ সোমবার চার মাসের সময় বাড়ানোর আবেদন করেন।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রাষ্ট্রপরে আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান সময় বাড়ানোর আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ ফজিলা বেগমের আদালতে আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
রাষ্ট্রপরে আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আকরাম উদ্দীন শ্যামল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, এর আগে গত ৩ অক্টোবর, ৩ জানুয়ারি, ৩ এপ্রিল ও ৩ জুন সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছিল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাহ্হার আকন্দ তদন্তের সময় বাড়ানোর আবেদনে বলেন, এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মাওলানা শেখ আব্দুস সালাম, পাকিস্তানি নাগরিক আব্দুল মজিদ বাট ও আরিফুল ইসলাম আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে গ্রেনেড সংগ্রহ ও সরবরাহের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাছাড়া এ মামলায় দু’জন গুরুত্বপূর্ণ সাীর স্যা রেকর্ড করা হয়েছে। আব্দুল মজিদ বাট গ্রেনেডের উৎস সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সাীদের তথ্য যাচাই বাচাই করা হচ্ছে। অন্যান্য আসামিদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারের জন্য আরও সময় প্রয়োজন।
২০০৮ সালের ২৯ অক্টোবর মুফতি হান্নানসহ ২২ আসামির বিরুদ্ধে অবিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় ৬১ জনের সাী নেওয়ার পর মামলাটিতে পুনরায় তদন্ত চেয়ে আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপ।
গত বছরের ৩ আগস্ট ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. মাসদার হোসেন রাষ্ট্রপরে দাখিল করা আবেদনটি মঞ্জুর করেন। আদালত দুই মাসের মধ্যে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য পুলিশের আইজিকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে মামলাটি দ্রুত বিচার আইনের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বিচার কাজ সম্পন্ন করতে না পারায় মামলাটি ঢাকা মহানগর আদালতে পাঠিয়ে দেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ ২৩ জন নিহত হন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী।
এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি মামলা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১০