ঠাকুরগাঁও: শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল। ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা গণহত্যা দিবস।
১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় নির্বিচারে চালায় গণহত্যা। শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবি, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষও রেহাই পায়নি তাদের হাত থেকে।
দিবসটি পালনে পীরগঞ্জ প্রেসক্লাব ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যৌথ ভাবে র্যালি, মরনোত্তর সম্মানা ও স্মৃতিচারণ আলোচনাসহ নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
এ দিনে শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, শহীদ ডা. সুজাউদ্দীন আহাম্মেদ তারই ভাই শহীদ মোজাফ্ফর হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শহীদ আব্দুল জব্বার, শহীদ কৃষক আতিউর রহমানসহ সাতজনকে পীরগঞ্জ-ঠাকুরগাও পাকা সড়কের জামালপুর ফার্মে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়।
এদিকে স্বাধীনতার ৪৩ বছর পেরিয়ে গেলেও এই শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছেন এই সব গণকবর।
শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফার ছেলে অধ্যাপক আসাদুজ্জামান আসাদ বাংলানিউজকে জানান, বাবার কবর সংরক্ষণে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলেন তিনি। ২০১০ সালে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। যার অনুলিপি তাকেও দেওয়া হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বর্তমান সরকারের আমলেই শহীদদের কবর সংরক্ষণে সরকারি উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আশা রাখেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন বাবুল বলেন, এ দিনটির স্মরণে আমারা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।
নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সমুন্নত রাখতে শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৫
পিসি