ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

৫ দেশ থেকে ৫ কনসাল জেনারেল ঢাকায়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১১

ঢাকা: পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিশ্বের ৫ দেশে বাংলাদেশের পাঁচজন অনারারি কনসাল জেনারেল ঢাকায় এসেছেন। বুধবার বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তারা সাক্ষাৎ করেন।


 
ঢাকায় আসা ৫ দেশের কনসাল জেনারেলরা নরওয়ে, পাকিস্তান, বুলগেরিয়া, ইয়েমেন ও মালয়েশিয়া থেকে এসেছেন। আরও তিনটি দেশের কনসাল জেনারেল আসার কথা থাকলেও তারা আসেননি।
 
কনসাল জেনারেলদের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং দেশের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য পরিবেশ কাজে লাগিয়ে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্যই বাংলাদেশের এই সাম্মানিক রাষ্ট্রদূতদের সফরে নিয়ে আসার পরিকল্পনা নেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ’
 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এমন এক পরিবেশ করতে চাইছি, যেন অনারারি কনসাল জেনারেলরা বাংলাদেশ সফর করে এদেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতিসহ ইতিবাচক দিকগুলো দায়িত্বরত দেশে তুলে ধরতে পারেন। ’
 
কনসাল জেনারেলরা তাদের দেশে শুধু বাংলাদেশকেই উপস্থাপন করবেন না; বরং বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়াতেও কাজ করবেন বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি জানান, ‘ফ্যামিলিয়ারাইজেশন অব বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় তাদের দেশে আনা হয়েছে। ’
 
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকায় আসা আট কনসাল জেনারেল হলেন- নরওয়ের বার্গেই শহরে নিযুক্ত ইলিফ দোসেন, বুলগেরিয়ার সোফিয়া শহরে নিযুক্ত স্ত্রোয়ান দিমিত্রভ, ইয়েমেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সালেহ সাঈদ আল গালিবি, মালয়েশিয়ার পেনাং শহরে নিযুক্ত শেখ ইসমাইল আলাউদ্দিন এবং পাকিস্তানের কাজী হুমায়ুন ফরিদ।
 
‘ফ্যামিলিয়ারাইজেশন অব বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে অন্য ৫ দেশে নিযুক্ত কনসাল জেনারেলকে বাংলাদেশ সফর আনা হয়। আগামী ডিসেম্বরে বিজয় দিবসে অন্য কয়েকটি দেশের কনসাল জেনারেলকে আনা হবে।

এবারের সফরে বাংলাদেশের জাহাজ শিল্প, ওষুধ শিল্প, আমদানি-রপ্তানিসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকের সূচি রেখেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া বাবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও অপর সংগঠন এমসিসিআিই এর সঙ্গে বৈঠক ও নৈশভোজে অংশগ্রহন করবেন কনসাল জেনারেলরা।
 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘ফ্যামিলিরাইজেশন অব বাংলাদেশ’ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের বাণিজ্যিক প্রক্রিয়া ও সুবিধাদি কনসাল জেনারেলদের বুঝিয়ে দেওয়া। যাতে তারা এই বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্প্রসারণে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারেন।
 
তাদের বাংলাদেশে সফরের জন্য বিভিন্ন উৎসবের সময়কেই বেছে নিয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। এজন্যই একুশে ফেব্রুয়ারি, পহেলা বৈশাখ ও বিজয় দিবসকে ঘিরে আয়োজন করা হয় সফরগুলো।
 
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গত ২০ ফেব্রুয়ারি তিনদিনের সফরে এসেছিলেন আজারবাইজানের বাকু, নরওয়ের অসলো, সিরিয়া, লেবানন, পোলান্ডের সসনোভিচ, স্পেনের বার্সেলোনা, উগান্ডা ও তানজানিয়ায় বাংলাদেশের কনসাল জেনারেলরা।
 
পরবর্তী বিজয় দিবসে বাংলাদেশে আসার জন্য এরইমধ্যে তিন দেশের চারজন কনসাল জেনারেলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
 
তারা হলেন-  তুরস্কের ইস্তান্বুলে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল কাজিম ওমর, ফিনল্যান্ডের হেলসিংকির দুই কনসাল জেনারেল হ্যারি বে¬জার ও তোইমাস মানতেসারি, বেলজিয়ামের অ্যান্টোয়ার্পে নিযুক্ত প্যাট্রিক সোফিস।
 
সূত্র জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কনসাল জেনারেলদের সফরে পরিদর্শনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ওষুধ ব্যবসার জন্য বেক্সিমকো ফার্মা, জাহাজ ব্যবসার জন্য চট্টগ্রামের ইস্টার্ন শিপিং কোম্পানি। তারা চট্টগ্রামে এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনে (কেইপিজেড) বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।