ঢাকা: দেশে উচ্চশিক্ষার প্রাণকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) স্নাতক শ্রেণির ভর্তি নিয়ে যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে তাকে ভুল বললেন মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। তারা মনে করেন হঠাৎ এ ধরণের সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের বিপাকে ফেলেছে।
শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বিয়াম অডিটোরিয়ামে বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপ অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক হিসেবে এ মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
শারমিন রমার উপস্থাপনায় বিবিসি বাংলা সংলাপের ৮৯তম পর্বে প্যানেল আলোচক হিসেবে আরো ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক নুজহাত চৌধুরী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম।
কামরুল ইসলাম বলেন, আমি মনে করি হঠাৎ করেই ঢাবির এ সিদ্ধান্তে যাওয়া উচিত হয়নি। শিক্ষার্থীদের অন্তত সুযোগ দেওয়া উচিত। এ বছর জানিয়ে দিয়ে পরবর্তী বছর থেকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যেতে পারে বলে মত দেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এটা ঢাবির একটা ভুল সিদ্ধান্ত। এতে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পরেছে। এখনও সময় আছে ঢাবিকে বিষয়টি ভাবতে হবে।
তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, মোটেই সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। কে এই সিদ্ধান্ত নিলো। কিভাবে নিয়েছে তাও তো জানি না।
অধ্যাপক নুজহাত চৌধুরী বলেন, আমি যতটুকু জানি ঢাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ায় নতুন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতায় টেকা কষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এভাবে হঠাৎ করেই কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া মোটেই ঠিক হয়নি। শিক্ষার্থীদের আরো সময় দেওয়া উচিত।
অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম বলেন, ঢাবির এ সিদ্ধান্ত অগ্রহণযোগ্য। যুক্তি সঙ্গত নয়। শিক্ষার্থীদের ওপর হঠাৎ করে এ সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া মোটেই শুভকর হয়নি।
ঢাবির বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থী তানিয়া আক্তার এ সংক্রান্ত একটি প্রশ্ন করেন বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ বাতিল করা কতটা যুক্তিযুক্ত হয়েছে?।
উপস্থাপক বিবিসি সংলাপের জরিপ তুলে ধরে বলেন, দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ মনে করে ঢাবি’র সিদ্ধান্ত ভুল। তাই বৃহত্তর স্বার্থে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি করা হয় সংলাপ থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ০২১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৪