ভৈরব হাজী আসমত কলেজ থেকে: রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের প্রথম নামাজে জানাজার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌরসভার হাজী আসমত কলেজ মাঠে। সকাল ১০টায় এ মাঠেই অনুষ্ঠিত হবে তার নামাজে জানাজা।
ভৈরববাসীর অপেক্ষা এখন কেবল সদ্য প্রয়াত রাষ্ট্রপতিকে শেষবারের মতো দেখা। কলেজ মাঠে এরইমধ্যে মানুষের ঢল নেমেছে। যোগ দিয়েছেন কুলিয়ারচর, ভৈরবের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে জানাজার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্য ও স্থানীয় প্রশাসন যৌথভাবে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করে। তৈরি করা হয়েছে রাষ্ট্রপতির মরদেহ রাখার মঞ্চ। নিরাপত্তার চাদরে মোড়া হয়েছে পুরো হাজী আসমত কলেজ প্রাঙ্গণ।
নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ), পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, হাজী আসমত কলেজের মাঠের পাশেই ভৈরব স্টেডিয়ামে হেলিকপ্টারে করে আনা হবে রাষ্ট্রপতির মরদেহ। সকাল সোয়া ৯টায় সিএমএইচ থেকে তার মরদেহ নেয়ার প্রস্তুতি চলছিল।
এসএসএফ সূত্রে জানা গেছে, আসমত আলী কলেজের মাঠে রাষ্ট্রপতির মরদেহ রাখা হবে ৪৫ মিনিট।
এ কলেজ মাঠে প্রবেশের তিনটি গেটের মধ্যে দু’টি সর্বসাধারণের প্রবেশের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। আর একটি গেট দিয়ে আনা হবে রাষ্ট্রপতির মরদেহ।
এদিকে, জানাজায় অংশ নিতে সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ জানাজা প্রাঙ্গণে ছুটে এসেছেন। জানাজায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। উপস্থিত রয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বদর উদ্দীন আহমেদ কামরানসহ বিশিষ্টজনেরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকারে দেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি ছিলেন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। বুধবার বিকেলে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
শুক্রবার সকালে হেলিকপ্টারে করে মরদেহ নেওয়া হবে জিল্লুর রহমানের জন্মস্থান কিশোরগঞ্জের ভৈরবে। সেখানে নামাজে জানাজা শেষে দুপুর সাড়ে ১২টায় মরদেহ পুনরায় নেওয়া হবে বঙ্গভবনে, সেখানে শ্রদ্ধা জানাবেন কূটনীতিকরা।
দুপুর আড়াইটায় জাতীয় ঈদগাহে জানাজার পর বিকেল ৪টায় বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে রাষ্ট্রপতিকে।
রাষ্ট্রপতির স্মৃতি বিজড়িত ভৈরবের সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে সেখানে রয়েছেন বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট সাঈদ আরমান, আদিত্য আরাফাত ও স্টাফ করেসপন্ডেন্ট সাজিদুল হক, মাজেদুল নয়ন, মফিজুল সাদিক এবং ডেপুটি চিফ অব ফটো করেসপন্ডেন্ট নাজমুল হাসান ও স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট সায়মন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৩
এডিএ/এসএআর/সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর- [email protected]