ঢাকা: সচিবালয় ভাতা ও রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি আদায়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের আশ্বাসে সরে গেছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। একই সঙ্গে ১০ দিন পর দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারির কথা জানানো হয়।
সোমবার (১৯ মে) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর এ কথা জানান। এ সময় কর্মচারীদের পক্ষে পরিষদের মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অর্থ মন্ত্রণালয় ত্যাগ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বৈঠক শেষে পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর বলেন, সচিবালয়ে রেশন ও ভাতার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে আলোচনা চলছে। সমাবেশ, আবেদন, নিবেদন, ব্যক্তিগত যোগাযোগ, ডকুমেন্টস শো, ডকুমেন্টস সার্পোটিং পেপারসহ সব কিছু নিয়ে আমরা আলোচনা যার সঙ্গে করেছি। সেটা সে পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। উপদেষ্টা পর্যন্ত সে আলোচনা পৌঁছেনি।
তিনি বলেন, আজকে আপনাদের (কর্মকর্তা-কর্মচারী) সহযোগিতায় অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। উপদেষ্টা বলেছেন, সচিবতো আমাকে এ বিষয়ে জানাননি। আমি আপনাদের সব কথা শুনেছি। আমাকে একটু সময় দিন ১০ থেকে ১২ দিন। আমি এ বিষয়টা কেবিনেটে তুলবো। আজকেই অর্থ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডেকে বিষয়টা পর্যালোচনা করবো এবং কেবিনেটে উঠাবো। আপনাদের জন্য যদি কোনো সুখবর আনতে পারি। এক্ষেত্রে আমার পক্ষ থেকে কোনো প্রকার ত্রুটি থাকবে না।
বাদিউল কবির বলেন, আমি তাকে (অর্থ উপদেষ্টা) বলেছি খাদ্য উপদেষ্টা আমাদের কথা শুনে সুপারিশ পর্যন্ত পাঠিয়েছে। অথচ সচিবসহ তার পুরো টিম কর্মচারীদের তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে বেছে নিয়েছে। উপদেষ্টা আমাদের কাছে ১০ থেকে ১২ দিনের সময় চেয়েছেন। আমরা সে সময়টা দেবো। ঠিক ১০ দিন পর আমাদের দাবি আদায় না হলে আমরা কঠোরভাবে এখানে নামবো। ১০ দিন পর আপনাদের সঙ্গে পরামর্শ করে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালের পরে আমরা পে কমিশনের কোনো আওয়াজ শুনতে পাইনি। ইতিপূর্বে আমাদের যারা নেতৃত্বে ছিলেন তারা ব্যক্তি স্বার্থ আর দালালির জন্য তৎপর ছিলেন। সচিবালয়ের কর্মচারীদের কথা কখনো প্রকাশ করেনি। আমি কোনো ব্যক্তি স্বার্থ ও দালালির জন্য আপনাদের ব্যবহার করতে চাই না। আমাদের শুধু একটা দাবি আছে সেটা হলো পদ পরিবর্তনের দাবি। এ দাবি আদায়েও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
এর আগে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিজে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে দিতে অর্থ উপদেষ্টার অফিস কক্ষে এসে অবস্থান নেন কর্মচারীরা। এ সময় তারা অর্থ মন্ত্রণালয়ে এসে উপদেষ্টার অফিস কক্ষের সামনের করিডোরে বসে অবস্থান নেন। এ সময় কর্মচারীরা স্লোগান দেন ‘আমাদের দাবি মানতে হবে, মানতে হবে, সচিবালয় ভাতা ও রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
জিসিজি/আরআইএস